ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ব্রয়লার মুরগির খাবার ও মুরগির বাচ্চার দাম কমানোসহ সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রিশিল্প সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রিশিল্প সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম (মল্লিক), মহাসচিব মো. কাশেম প্রমুখ।
এ সময় ‘বাঁচাও পোল্ট্রি শিল্প, রক্ষা করুন কর্মসংস্থান’ এই স্লোগানে ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রিশিল্প সংগঠনের দাবিগুলো হলো-
১. ব্রয়লার মুরগির ৫০ কেজি প্রতি বস্তা খাদ্যের দাম এখন ২ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৮৫০ টাকা। এ দাম কমিয়ে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে এবং খাদ্যের মান বৃদ্ধি করতে হবে। লেয়ার সোনালীসহ অন্যান্য মুরগির খাদ্যের দাম ৫০ কেজি প্রতি বস্তা ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে।
২. ব্রয়লার ও লেয়ারসহ সব মুরগির বাচ্চার দাম বাৎসরিক ভাবে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে আনতে হবে এবং বাচ্চার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
৩. খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো নিজেরাই খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদন করে খামারিদের কাছে বিক্রি করে এবং নিজেরা ব্রয়লার ও লেয়ার সহ সকল প্রকার রেডি মুরগি উৎপাদন করে, বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এতে খামারিরা ধ্বংসের পথে। তাই কোম্পানিগুলোর রেডি মুরগি উৎপাদন করা বন্ধ করতে হবে।
৪. প্রণোদনার টাকা নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় ৩০০ জন নিবন্ধিত খামারিকে (১০০০ মুরগি পালনকারী খামারি) স্বল্পসুদে সহজশর্তে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা ঋণ দিতে হবে।
৫. কোনো খামারি দশ হাজার মুরগির উপরে কোন প্রকার রেডি মুরগি উৎপাদন করতে পারবে না।
৬. প্রান্তিক খামারিদের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিতে হবে।
৭. উদ্যোক্তা হিসেবে প্রান্তিক খামারিদের বিদ্যুৎ বিল আবাসিক করে দিতে হবে সরকারিভাবে।