সরকার তারুণ্যের মেধা এবং প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানান, সরকার দেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ, ফান্ডিংসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।শনিবার (১ মে) আইসশ্যালের “সুযোগ” প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে হোম গ্রন সলিউশনের উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকনমি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, দেশের ৬৪ টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে এসএসসি এবং এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ পাবে।
পলক বলেন, আজকে ২০২১ সালে এসে দেশের সাড়ে এগারো কোটি জনগণ ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছে। তারুণদের জন্য শ্রম বাজারে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে আইসশ্যালের সুযোগ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক আফতাবুল ইসলাম, ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরফান আলী, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড নাজনীন আহমেদ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ১০ এপ্রিল হোম গ্রোন ইনোভেশন এন্ড সল্যুশন দিয়েই একটি প্রবলেম সলভিং জাতি হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোলতে হবে। ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন সাংস্কৃতিক মুক্তি ছাড়া টেকসই অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়।ইনোভেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের উদ্যোগে ” ডিজিটাল বাংলাদেশ অভিযাত্রার অর্জন ও ভবিষ্যত গন্তব্য” নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেছিলেন।
তিনি তখন আরো বলেছিলেন,৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ সুযোগ হিসেবে নিতে হবে। এ জন্য অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ডিজিটাল ইকোনোমি গড়েতে চাই।