ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ‘সুন্দর আগামীর জন্য নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, খাবার মজুত, বিতরণ, সরবরাহ এবং নিরাপদ রাখতে প্যাকেজিংয়ের প্রয়োজন আছে। আমাদের সুরক্ষা আগে। আমরা শরীর এবং মনের সুস্থতার জন্য খাবার গ্রহণ করি। আমাদের ওষুধের মতো খাবার গ্রহণ করা উচিত, তা না হলে খাবারের মতো ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর এক হোটেলে সিগওয়ার্ক ও এফআইসিসিআইয়ের আয়োজনে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার প্রমুখ। সম্মেলনে প্যাকেজিংয়ে ওপর বক্তব্য রাখেন সিগওয়ার্কের গ্লোবাল প্রোডাক্ট সেফটি অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটি সাসটেইনেবিলিটির প্রধান ড. ইয়র্গ-পিটার ল্যাংহ্যামা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি বলেন, খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু। করোনা পরবর্তী সময়ে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির পর বিশ্ব খাদ্যের গুরুত্ব নতুন করে উপলব্ধি করছে। খাদ্য নিরাপত্তার ভেতরে নিরাপদ খাদ্য যুক্ত আছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কীভাবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে। অল্প সময়ে তারা চমৎকার কাজগুলো করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরাসরি ক্ষেত থেকে কিংবা প্রোডাকশন এলাকা থেকে দূষণ ছাড়াই যদি খাবার গ্রহণ করা যেত তাহলে বেশ ভালো হতো। কিন্তু তা সম্ভব নয়। খাবার মজুত, বিতরণ, সরবারহ এবং নিরাপদ রাখতে প্যাকেজিংয়ের প্রয়োজন আছে।