ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বাজারে সঠিক প্রতিযোগিতা থাকলে ভোক্তা ন্যায্য মূল্যে পণ্য পাবে বলে জানিয়েছেন কনজুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।
তিনি বলেন, বাজারে সুষ্ঠ প্রতিযোগিতা নেই। যে প্রতিযোগিতা আছে সেটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। এ জন্য প্রতিযোগিতা কমিশনকে আরও সোচ্চার হতে হবে। বাজারে যদি সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকে তবে পণ্যের মান ভালো হয়। ব্যবসায়ী-বিক্রেতা-ভোক্তা সবাই লাভবান হয়।
রোববার সকালে রাজধানীর টিসিবি অডিটরিয়ামে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে অংশীজন এবং ঢাকা সিটির অধীন সকল বাজারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কনজুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান, এফবিসিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান, পি.এস.সি, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমূখ। এছাড়া আমদানিকারকসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য রাখেন।
গোলাম রহমান বলেন, আমাদের ভোক্তাদের একটা সমস্যা হলো রমজান বা কোনো ক্রাইসিস সময় হলে একসঙ্গে অনেক জিনিস কিনে রাখে। অনেক সময় অপচয়ও করে। এতে বাজার আরও সংকটের মধ্যে পড়ে যায়। এই জিনিসটা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই ভোক্তা। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভোক্তা এবং ব্যবসায়ী পরষ্পর দুটি পক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেন। এটা ভ্রান্ত। ভোক্তা আছে বলেই ব্যবসা আছে, ব্যবসায়ী আছে। ভোক্তা যেখানে থাকে সেখানে উৎপাদক থাকে না। ব্যবসায়ীরা ভোক্তা এবং উৎপাদকের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করেন। ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই ভোক্তা এবং ব্যবসায়ী পরষ্পর প্রতিপক্ষ নয়, সম্পূরক।
অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, খুচরা বাজারে বেশি অভিযান হয়। কারণ খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে পণ্যের সংকট দেখলেই দাম বাড়িয়ে দিয়ে বাড়তি মুনাফা করে। যাতে প্রত্যক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভোক্তা বা ক্রেতারা। তবে যারা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থে দায়ী যেমন আমদানীকারক, রিফাইনারী, উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী তাদের দিকেও দৃষ্টি দেওয়া জরুরী বলে আমি মনে করি।