‘খাদ্যের নিরাপদতা পরীক্ষায় আরো ৩টি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে’

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেছেন, ‘সারাদেশে ২৪৮ জনবল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এটি বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া খাদ্যের নিরাপদতা পরীক্ষায় বৈদেশিক অনুদানের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আরো তিনটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। তাতে ৩১৮টি পদে লোকবল নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে।’

সোমবার রাজধানীর শাহবাগে বিএফএসএ কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে জাকারিয়া বলেন, ‘সবজিতে কীটনাশক সরাতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে কিছুটা কমে। বেশি অনিরাপদ বা ক্ষতিকারক খাদ্য এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন কলিজা জাতীয় খাবার। এ খাবার পরিমাণে কম খেতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খাদ্য নমুনা পরীক্ষা করা নিয়মিত কাজ। প্রতিটি জেলা অফিসকে মাসে কমপক্ষে দুটি নমুনা পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। নিরাপদ শাক-সবজি এলেও বাজারের পরিবেশের কারণে তা দূষণের কবলে পড়ে।’

এ ক্ষেত্রে বাজারগুলোর পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ রয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএফএসএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি স্থানীয় সরকার ও পৌরসভার দায়িত্ব। সেখানে আমাদের কাজ করার সুযোগ কম।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খোলাবাজারে পণ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা কঠিন। কেননা এটা তারা উৎপাদন করে না। তবে রেস্টুরেন্টে ভেজাল খাবার দেয় কি না তা আমরা ধরে থাকি। আর ভেজাল পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষ কাউকে ছাড় দেয় না। তাছাড়া রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আদালতের ওপর নির্ভর করতে হয়।’

জাকারিয়া বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় মসলায় চক পাউডারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কয়েক মাস আগে একটা কোমল পানীয়ের মধ্যে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে। তা নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিলে তারা আদালতের দারস্থ হয়ে অনুমোদন নিয়ে নিয়েছে। এটা আমাদের সীমাবদ্ধতা।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ’র সদস্য মাহমুদুল কবির মুরাদ ও মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।

-এবি/এমএ