ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ক্রান্তিলগ্নে সহিংসতা পরিহার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতৃবন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হামলা, বিভিন্ন কল কারখানা, অফিস, আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, বাসা-বাড়িতে হামলা, মন্দির, উপাষনালয়ে ভাংচুর করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কগণসহ অনেক রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত, শান্তি শৃংখলা রক্ষা ও সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পেশাদার আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনীকে সমস্ত অরাজকতা ও দৃস্কৃতকারীদের নৈরাজ্য ও লুটপাট থেকে শান্তিপ্রিয় জনগণের জানমাল রক্ষা করার আহ্বান জানাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে এই ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম ও খাদ্য মূল্যস্ফীতির আরও বাড়বে। এবং সার্বিক অর্থনীতি আরও ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে যা এ দেশের জনগণের জন্য কখনও কাম্য নয়।
এভাবে নৈরাজ্য, অরাজকতা ও বিশৃংখলা চলতে থাকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত ১৬ বছরের যে একনায়কতন্ত্রের অবসান হয়েছে, তা ম্লান হয়ে যাবে এবং জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ভাবে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে। এবং এ সুযোগে তৃতীয় কোনো শক্তি উত্থানের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার এই রক্ষক্ষয়ী অর্জন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে। আমরা এটা কখনো হতে দিতে পারি না।
এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে তাদের পরিবারের পাশে থাকার জন্য সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।