ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হচ্ছে নতুন ইউনিট। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় সেকেন্ড টাইম (দ্বিতীয়বার) সুযোগ না রাখার প্রস্তাব করেছে ভর্তি কমিটি। শিগগির কমিটি ভর্তির নিয়মাবলি চূড়ান্ত করবে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির একাধিক সদস্য গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এবার গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এর আওতায় আগের মতো লিখিত প্রশ্ন পদ্ধতির সঙ্গে থাকছে নতুন করে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন। তবে আগের মতো থাকবে না দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ। এক ইউনিটের পরীক্ষা হবে একই দিনে দুই বা ততোধিক শিফটে। এরই মধ্যে এসব বিষয়ে সুপারিশ এবং প্রস্তাব করেছেন কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যরা।
ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা এবার গুচ্ছে থাকছি না, এটি শতভাগ নিশ্চিত। তবে সেকেন্ড টাইম, ভর্তি পদ্ধতি, প্রশ্ন পদ্ধতিসহ যাবতীয় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় চূড়ান্ত করা হবে।
ভর্তি কমিটির সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় নতুন করে ‘ই’ ইউনিট যুক্ত হয়ে ইউনিট সংখ্যা হবে পাঁচটি। যথারীতি ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান অনুষদ, ‘বি’ ইউনিটে কলা অনুষদ, ‘সি’ ইউনিটে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, ‘ডি’ ইউনিটে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং ‘ই’ ইউনিটে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন। এর মধ্যে ‘ডি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন সব বিভাগের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
কমিটি সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা হবে দুই বা ততোধিক শিফটে। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা ও কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে সকাল-বিকেল দুই শিফটে এবং বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে সকাল-দুপুর-বিকেল তিন শিফটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির কেন্দ্রীয় কমিটি এরই মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়সূচি ঠিক করেছে। সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী,৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে পারে, যা শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। ৩১ জানুয়ারি ‘সি’ ইউনিট, ৭ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট, ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ই’ ইউনিট, ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন বলেন, গত ২-৩ বছর যেহেতু আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিইনি, এ জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় লাগছে। আশা করি আগামী দু-একদিনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি আমাদের ভর্তি পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সবকিছু যেহেতু আইটি দপ্তর করবে, এ জন্য একটু গুছিয়ে নিচ্ছেন তারা। তবে এ সপ্তাহে ভর্তি কমিটির সভায় সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।