ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: অযৌক্তিক ভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের বড় সংকট। যখন বাড়তে থাকে তখন একটার পর একটা পণ্যের দাম বাড়ে। ডিমের দাম না কমতেই আলু, আলুর দাম না কমতেই বাড়ে পেঁয়াজের দাম। তেল, চিনির ক্ষেত্রেও তাই। প্রসেস করা খাদ্যের দাম যখন বাড়ে তখনও সব কোম্পানিই একের পর এক বাড়াতে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দাম বাড়ে সিন্ডিকেটের কারণে। আর এসব সিন্ডিকেট ভাঙতে দেশে শক্তিশালী কোনো আইন নেই।
চলতি বছর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশে পণ্যের উচ্চমূল্য শুধু বাহ্যিক বা আন্তর্জাতিক বাজারের কারণেই নয়। এর পেছনে আছে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের অভাব, বাজারের সিন্ডিকেট, প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের অভাব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে এসব অপরাধ প্রতিরোধে আইনের বড় দুর্বলতা রয়েছে, যা আছে, তারও প্রয়োগ কম। আবার কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে ‘গুরু পাপে লঘু দণ্ড’ নির্ধারিত রয়েছে। যে কারণে বার বার বেপরোয়া হয়ে উঠছেন ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুটে নিচ্ছেন অবৈধ মুনাফা, যার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।
বর্তমান আইনে কারসাজি করে কোনো পণ্য বেশি দামে বিক্রি করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর সরাসরি লঙ্ঘন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকারবিরোধী কার্য প্রতিরোধে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। আইনের ২(২০)(ক) ধারা অনুযায়ী, কোনো আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে কোনো পণ্য, ওষুধ বা সেবা বিক্রি করা বা করতে প্রস্তাব করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ।
ভোক্তাধিকারের যে আইন আছে, সে আইনের মধ্যে তাদের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পাওয়ার দেওয়া আছে। তবে মামলা করার ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়নি। ফলে তারা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ শাস্তি যেটা, সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।- ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ধারা ৪০ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি কোনো আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে কোনো পণ্য, ওষুধ বা সেবা বিক্রি বা বিক্রির প্রস্তাব করলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থাৎ, যারা বাজারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে কোনো পণ্য বিক্রি করবেন, তারা আইনত দণ্ডনীয় হবেন।
কিন্তু তথ্য বলছে, বাজার তদারকিতে ভোক্তা-অধিকার আইনের আওতায় তৎপরতা সবচেয়ে বেশি হলেও দেশে এ আইনে বিচার শেষে সাজা হয়েছে, এমন উদাহরণ নেই। বাজারে কোনো পণ্য অধিক দামে বিক্রির প্রমাণ মিললে এক-দুই হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই পরিমাণ জরিমানা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীর কিছু সময়ের অবৈধ মুনাফার সমান। এছাড়া আইনের অন্য ধারারও তেমন প্রয়োগ নেই।
এ পরিস্থিতিতে প্রচলিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সংশোধন ও সময়োপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার- এমনটাই জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটগুলো সব সময় বাজারে কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ খোঁজে। এসব অবৈধ কারবারি চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে আমরাও সদা সক্রিয়। সে জন্য এ আইন অনেক ক্ষেত্রে যথার্থ নয়। আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বাজার তদারকির ক্ষমতা থাকলেও তাদের বিচারিক ক্ষমতা নেই। অর্থাৎ, শুধু জরিমানা করতে পারে। এ বিষয়ে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘আমরা কাউকে কারাদণ্ড দিতে পারি না। সেক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর মামলা করতে হবে। সেখানে কারাদণ্ড হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা চাইলে কারাদণ্ড দিতে পারেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিচারিক ক্ষমতা দিলে ভালো হয়।’
এ আইনের ২৪ ধারা অনুযায়ী, মহাপরিচালক বা সরকারের কাছ থেকে এই উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা যদি মনে করেন কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করেছেন, তাহলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করতে পারে। সেজন্য মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা ও জরিমানা করা ছাড়া ভোক্তা অধিকারের তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।
কারসাজি বা সিন্ডিকেট করে কেউ যাতে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করতে না পারে, সে জন্য প্রতিযোগিতা আইন-২০১২ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল, ব্যবসা-বাণিজ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা। প্রতিযোগিতা আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণ সংক্রান্ত এমন কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবে না, যা বাজারে সেই পণ্যের দাম নির্ধারণ বা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে বা বিস্তারের কারণ ঘটায় কিংবা বাজারে মনোপলি অথবা ওলিগপলি অবস্থার সৃষ্টি করে।
১৬ ধারা অনুযায়ী, ‘প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে পণ্য বেচাকেনা বা সেবা প্রদানে অন্যায্য বা বৈষম্যমূলক শর্তারোপ করে বা পণ্য ও সেবার কেনাবেচায় বৈষম্যমূলক মূল্য বা কৃত্রিমভাবে হ্রাসকৃত মূল্য নির্ধারণ করে, এমন কোনো কর্তৃত্বময় অবস্থার সৃষ্টি করা যাবে না।’ এই আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে।
তবে এ আইনের এখনো কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। যদিও গত অক্টোবরে ব্রয়লার মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধিসংক্রান্ত মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। প্রতিযোগিতা আইনের ১৫ ধারায় এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে কোম্পানিগুলো রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছে।
সিন্ডিকেট প্রতিরোধে তাহলে প্রতিযোগিতা আইন কতটা কার্যকর- এমন প্রশ্নে কমিশনের সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের আইনগুলোর কিছু দুর্বলতা রয়েছে। যেগুলো আরও সময়োপযোগী করা প্রয়োজন। তবে একদম অপর্যাপ্তও বলা যাবে না। এর মধ্যে যা আছে, তার যথাযথ প্রয়োগ নেই। আমরা অন্য দেশের আইনগুলো দেখছি। প্রয়োজনে আমরা আইন সংশোধনের প্রস্তাব করবো।’
দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, বড় ব্যবসায়ী বা করপোরেট প্রতিষ্ঠাগুলো বাজারে একচেটিয়া অবস্থানের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। কোম্পানিগুলো প্রচলিত প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করে বাজারে কর্তৃত্বমূলক অবস্থা বজায় রেখে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতা কমিশন এসব বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোক্তারাও। তারা বলছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এই সিন্ডিকেট আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে সিন্ডিকেট ও মজুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, এমনকি যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ন ১৪ বছরের সাজা থাকার পরও কোনো ধরনের পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অবৈধ মজুত ও কালোবাজারির শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে। আইনটির ২৫(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কেউ মজুত বা কালোবাজারের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে সে ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১৪ বছর কারাদণ্ড, তদুপরি জরিমানার দণ্ডেও দণ্ডিত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, মজুতের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করেন আর্থিক বা অন্যবিধ লাভ করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং অন্য কোনো উদ্দেশ্যে মজুত করেছিল, তবে তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড ও জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ তবে তথ্য বলছে, এ আইনেও সিন্ডিকেট ও মজুতকারীদের কখনো কোনো দৃষ্টান্তমূলক সাজার নজির নেই।
এবছর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারের অস্থিরতা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। এ নিয়ে রিটও হয়েছিল গত মার্চে। ওই সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করা অবৈধ জোটবদ্ধ (সিন্ডিকেশন) ব্যবসা বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। একই সঙ্গে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করা দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে বলা হয়। এরপর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুতদারদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এছাড়া অবৈধ জোটবদ্ধ ব্যবসা প্রতিরোধে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২-এর ২১ (১) ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রবিধান প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, একই সঙ্গে চাল, ডাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের মতো পণ্য বিক্রির ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রি) নীতিতে রেশন কার্ডের বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে সে প্রশ্নও রাখা হয়। একই সঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত- এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘ভোক্তা অধিকারের যে আইন আছে, সে আইনের মধ্যে তাদের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পাওয়ার দেওয়া আছে। তবে মামলা করার ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়নি। ফলে তারা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ শাস্তি যেটা, সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘এর বাইরে ওনাদের কোনো কিছু করার নেই। কিন্তু এটা যথাযথ ব্যবস্থা নয়। মাঠপর্যায়ে একটা নেটওয়ার্ক আছে ভোক্তা অধিকারের অধীনে, তারা চাইলে এ বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করতে পারে। এছাড়া আইনে বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অধীনে একটি সাব-কমিটি থাকার কথা, যে কমিটি বাজার মনিটরিং করবে। এরকম আইনে অনেক কিছু আছে। কিন্তু আমরা কার্যকর কিছু দেখছি না।’
বিশেষ ক্ষমতা আইন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই আইনে মজুত সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। সেটা প্রয়োগে ভোক্তা অধিদপ্তরের মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজন নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নিতে পারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তারা মজুতদারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারে। এছাড়া কোনো এলাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কিংবা যে কোনো সরকারি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বা এসিল্যান্ড ব্যবস্থা নিতে পারেন। ব্যবসায়ীরা বিশৃঙ্খলা করলে সেক্ষেত্রে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টে মামলা করা যেতে পারে।’
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও বলেন, ‘কম্পিটিশন অ্যাক্ট-২০১২ (২০১২ সালের প্রতিযোগিতা কমিশন আইন) আইন আছে। এর অধীনে কমিশনও আছে একটি। এদের কাজ হচ্ছে যাতে কেউ একচেটিয়া বাজারজাত করতে না পারে সেটা দেখা, বাজারে যাতে প্রতিযোগিতা থাকে। এই কমিশনকে মামলা করার এখতিয়ার দেওয়া গেলে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু কমিশনের যেহেতু এই ক্ষমতা নেই, তাই স্পেশাল অ্যাক্টের বিধান রয়েছে সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ করা উচিত।’
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘এখন বাজারে কোথাও সিন্ডিকেট কাজ করছে, কোথাও মুদ্রাস্ফীতির পরিবেশ কাজে লাগিয়ে অতি মুনাফালোভীদের সক্রিয় করা হয়েছে। ক্রেতা প্রতারণার নানা ক্ষেত্র এখন বাজারে। সে ক্ষেত্রে আইন আরও কার্যকর প্রয়োজন। কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা জানেন, আমাদের আইনি দুর্বলতা ও জটিলতা রয়েছে। তারা সেটার সুযোগ নিচ্ছে। আমাদের আইনের প্রয়োগ আরও কার্যকর করা দরকার। বাজার নিয়ন্ত্রণে চলমান কার্যক্রম একদমই যথেষ্ট নয়।’
সৌজন্যে, জাগো নিউজ।