ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন বলেছেন, ‘দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যগুলোর মধ্যে ফল ও সবজিতে কীটনাশকের ব্যবহার হার বেশি। আমাদের কৃষক শ্রেণী কীটনাশক ব্যবহারে সাধারণত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে না। ফলে দেখা যায় খাদ্যপণ্যের মধ্যে শাক-সবজি ও ফলে কীটনাশকের উপস্থিতি বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রুহুল আমিন বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত কোন খাদ্য কতটুকু নিরাপদ তা জানা যায় না। তবে আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে সব ধরনের খাবারই নিরাপদ থাকতে হবে। জাতিসংঘের এসডিজি গোল ২ এ খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাবারের ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
দেশের মানুষের খাদ্যে ফল গ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষ ২৩.৮ শতাংশ ও শহরে ৩৮ শতাংশ ফল খেয়ে থাকেন। এটি বিভাগীয় ভাবে গ্রহণের ক্ষেত্রে বরিশালে ৪০.২ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৭.৩, ঢাকায় ২৬.৫, খুলনায় ২৬.২, ময়মনসিংহে ৩৫.৮, রাজশাহীতে ৪৮.৯, রংপুরে ৬০.১ ও সিলেটে ৪৫.৭ শতাংশ।’
এদিকে গরুর মাংস ও পোলট্রি মাংস গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ ১৫.৭ শতাংশ, শহরে ৩৩.১ শতাংশ, ডিম গ্রহণে গ্রামের মানুষ ১০.১, শহরে ১৮.৯ শতাংশ, তাছাড়া দেশে ডিম, দুধ ও মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। সেখানে ধনীদের এটি গ্রহণের হার ৭ শতাংশ ও গরিব মানুষের মাত্র ২ শতাংশ।
ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে ড. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিদেশে রপ্তানি করতে হলে নিরাপদ খাদ্য রপ্তানি করতে হবে। তা না হলে বিদেশিরা আমাদের পণ্য কিনবে না।
তিনি বলেন, ‘তিন ভাগে খাদ্য নিরাপদতা নির্ভর করে। তার মধ্যে রয়েছে পাবলিক ফুড সেফটিং, থার্ড পার্টি ও ন্যাশনাল পর্যায়ে।’
দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের হার কতটুকু এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোন খাদ্য কতটুকু নিরাপদ তা জানা যায় না। তবে ফল ও সবজিতে কীটনাশকের ব্যবহার বেশি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান জাকারিয়া৷
আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ’র সদস্য মাহমুদুল কবির মুরাদ ও মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।
এবি