‘ভেজাল প্রতিরোধে সামাজিক ও মানসিক পরিবর্তন দরকার’

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা শুরুটাই করি ভেজাল দিয়ে। যেমন জন্ম নিবন্ধনে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছি, চাকরি নিতে গিয়ে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছি। এ জন্য আমাদের সামাজিক ও মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে।’

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে ‘খাদ্যজনিত অসুস্থতা ও স্বাস্থ্য বিপত্তি নিরসনে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভেজাল প্রতিরোধ করতে না পারলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব না। এ জন্য উৎপাদন পর্যায়ে নজর না দিলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেরা নীতি-নৈতিকতা না মানি তাহলে খাদ্য নিরাপদ করা যাবে না। মুড়িতে ইউরিয়া সার দেওয়া হচ্ছে, কৃষিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহার হচ্ছে। পেশাদারদের মধ্যে পেশাদারিত্ব না থাকলে শুধু নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দিয়ে কাজ করলে খাদ্য নিরাপদতা করা যাবে না।’

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ খাদ্য ও নিরাপদ খাদ্যের তফাৎ, নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব, খাদ্যে ভেজাল ও রংয়ের ব্যবহার, খাদ্যজনিত রোগ, খাদ্যবিপত্তি, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব, বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের পথচলা ও চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ‘খাদ্য ব্যবস্থাপনায় প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব প্রক্রিয়ায় খাদ্য কতটা নিরাপদ থাকছে তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। খাদ্যজনিত কারণে কত মানুষ অসুস্থ হয় তার কোনো তথ্য নেই। বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষ অসুস্থ হয়। তবে আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ অসুস্থ হয়। আর দক্ষিণ এশিয়ায় এ হার বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সে ক্ষেত্রে আমরা খাদ্যজনিত অসুস্থতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছি।’

বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফএসএ সদস্য আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের, খাদ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

-এবি