ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: দেশে খাদ্য নিরাপদ করতে না পারলে কোন লক্ষ্যই বাস্তবায়িত হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন ফুড সেফটি মুভমেন্ট।
আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সকলের অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলতে হবে- নিরাপদ খাদ্য আমার অধিকার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূর্ণ হয়েছি। এতে আমাদের উদরপূর্তি হচ্ছে। ক্ষুধাকে এক প্রকার জয় করা গেছে। এখন সময়ের দাবি হচ্ছে খাদ্য নিরাপদ হতে হবে। আর এটাও তো সত্য কথা- নিরাপদ না হলে সেটা তো খাদ্য হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আন্তর্জাতিক প্যারামিটারের যে জায়গায় আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে তার মধ্যে নিরাপদ খাদ্য অন্যতম। সরকার এ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে আইন প্রণয়নের পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এখন দরকার এ কাজে সকলের অংশগ্রহণ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. রেজাউল করিম, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের রিসালাত সিদ্দিক, ফুড সেফটি মুভমেন্টের সভাপতি সাদেক মো. খান।
আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. মেহেরুন নিছা মেহেরীনের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড সেফটি মুভমেন্টের মহাসচিব মো. ইউনুছ আলী ।
আলোচায় অংশ নেন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটন, হার্ভেস্ট প্লাসের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. খায়রুল বাশার, গেইনের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবুল বাশার চৌধুরী। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি শেখ সাঈদ হোসেন, কামরুন নাহার লিজা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম উইং) মো. মনিরুজ্জামান সিদ্দীক।
মুল প্রবন্ধে বলা হয়, অনিরাপদ খাদ্য খেয়ে দেশের মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া মুখরোচক খাদ্যের ক্রেতা ৬০ শতাংশ নারী, আর ৪০ শতাংশ পুরুষ। এসব মানুষ দিনে অন্তত একবার হলেও রাস্তার খাবার গ্রহণ করে থাকে।
এ সময় গবেষণার তথ্য দিয়ে বলা হয়, রাস্তার ৯০ ভাগ খাদ্যই অনিরাপদ। এ জাতীয় ৮৮ শতাংশ বিক্রেতার হাতে ক্ষতিকর জীবাণু থাকে, যা জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ|
বক্তারা বলেন, জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। সরকারের একক কোনো দপ্তর বা দু/চারটি সংগঠন মিলে এ অধিকার নিশ্চিত করা কঠিন। আবার খাদ্যের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করা ছাড়া ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে তা অর্জন করা সম্ভব নয়। এ কারণে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নাগরিকের স্মার্ট ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের কোন বিকল্প নেই।
-এসএম