দেশে ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৬০ হাজার শিশু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। তাদের কাজের বৈশিষ্ট্য জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক সমীক্ষায় শিশুশ্রমের এ চিত্র উঠে এসেছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাশনাল চাইল্ড লেবার সার্ভে ২০২১ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও জানানো হয়, দেশে এখন ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু বিভিন্ন কাজে কর্মরত রয়েছে। যদিও এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার শিশুর কাজ শিশুশ্রমের আওতায় পড়েছে।
শিশুশ্রম নিরসনে বাংলাদেশ সরকার ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম নির্ধারণ করে ২০২৫ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধের অঙ্গীকার করেছে। এরই ধারাবাহীতকায় জরিপ শুরু করেছে বিবিএস।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, জরিপে মোট ব্যয় হবে ২৫ কোটি ৯১ হাজার টাকা। জরিপের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হবে ২০২২ সালের জুনে। দেশে জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষা ২০০২-২০০৩ মেয়াদে প্রথম শুরু হয়। এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয় সমীক্ষা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, যে সময় শিশুদের স্কুলে যাওয়ার কথা, ঠিক সে সময় এক শ্রেণির শিশু পেটের দায়ে বা অভাবের তাড়নায় শ্রম বিক্রি করে। এটা খুবই বেদনাদায়ক। শিশুশ্রম বন্ধ হওয়া দরকার।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বিবিএসের এ জরিপ থেকে শিশুশ্রমের সঠিক তথ্য পাবো, যেটা শিশুশ্রম কমিয়ে আনতে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের মধ্যে সব থেকে ঢাকা বিভাগে শিশুশ্রমিক বেশি সাড়ে ৮ শতাংশ, এর পরেই চট্টগ্রামে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ শিশুশ্রমিক রয়েছে।
দেশের মধ্যে শিশুশ্রম সব থেকে কম বরিশালে ১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং সিলেটে ২ শতাংশ। খুলনায় ৩ দশমিক ২, রাজশাহীতে ৩ দশমিক ৯, রংপুরে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিশুশ্রমিক রয়েছে।