পন্য অর্ডার করে চার মাসেও পন্য হাতে না পাওয়া এবং সময় মত ডেলিভারী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও পন্য হাতে না পাওয়ায় স্বনামধন্য ই-কমার্স সাইট “আজকের ডিল” এবং পন্য ডেলিভারী মার্কেটপ্লেস “ডেলিভারী টাইগার” এর বিরুদ্ধে ভোক্তাকন্ঠের নিকট অভিযোগ করেছে দুজন ভুক্তভোগী।
“আজকের ডিল” হচ্ছে অ্যাপস ও ওয়েব ভিত্তিক একটি ই-কমার্স সাইট। কিন্তু সম্প্রতি তন্ময় রায় নামক একজন ভুক্তভোগী তাদের সাইট থেকে পন্য অর্ডার করে ব্যাপক হয়রানির শিকার হয়।
প্রথম অভিযোগকারী তন্ময় রায় তার অভিযোগে জানান, তিনি চার মাস অপেক্ষা করেও পন্য হাতে পান নি। পরবর্তীতে উপায় না দেখে টাকা রিফান্ড করার ব্যাপারে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের থেকে কোনো প্রকার সাড়া আসে নি বরং এক পর্যায়ে তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বলে জানান ভুক্তভোগী।
অভিযোগকারী আরো জানান, শুধুমাত্র তার সাথেই হয়েছে এমনটি নয়। আরো বেশ কয়জন ভোক্তাও এরুপ প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে তিনি প্রমাণ পেয়েছেন।
“ডেলিভারী টাইগার” হচ্ছে ওয়েব এবং অ্যাপসভিত্তিক একটি পন্য ডেলিভারী মার্কেটপ্লেস। তারা ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে কম টাকায় দ্রুত সময়ে পন্য ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী স্থানে ডেলিভারী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলেও সম্প্রতি নাহিদ সুলতানা নামক একজন ভুক্তভোগী তাদের থেকে হয়রানির শিকার হয়।
দ্বিতীয় অভিযোগকারী নাহিদ সুলতানা তার অভিযোগে জানান, তিনি ৮ই মে একটি পন্য সাভারে “ডেলিভারী টাইগার” এর মাধ্যমে পাঠায়। যা কিনা সম্ভাব্য ১৩ থেকে ১৪ই মে পোঁছানোর কথা ছিলো। কিন্তু পন্য হাতে না পেয়ে তিনি “ডেলিভারী টাইগার” এর হেল্প সেন্টারে একবার নয় দুইবার নয় বরং সাত দফা যোগাযোগ করেন। কিন্তু প্রতিবারই তাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পন্য ডেলিভারী পান নি। অবশেষে উপায় না পেয়ে অভিযোগ করেন ভোক্তাকন্ঠের নিকট। ভুক্তভোগী আরো জানান, সময় মত পন্য হাতে না পেয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
উল্লেখিত দুজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ দুইটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৬৬ ধারা অনুযায়ী একজন ভোক্তা চাইলে অধিকার আদায়ে দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে পারে।
তবে অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো বিশ্বাসযোগ্য সাইট বা পেজ থেকে অর্ডার করা উচিত এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ না করে ক্যাশ অন ডেলিভারী নিয়মটি মেনে চললে সেই সাথে পণ্যের ব্যাপক পজেটিভ রিভিও দেখে পণ্য ক্রয় করলে প্রতারণার ঝুঁকি অনেকটায় কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমাদের সকলের উচিত এইসব বিষয়ে একটু সচেতন হওয়া এবং অন্যকেও সচেতন করা। আপনার আশেপাশের কেউ কিংবা আপনি নিজে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কেন্দ্রে অভিযোগ করতে পারেন। তবে জেনে রাখা জরুরি, প্রতিকারের উদ্দেশ্যে অভিযোগ করলে অবশ্যই তার প্রমাণ থাকতে হবে।