এখন থেকে অনলাইন ব্যবসা করতে লাগবে ট্রেড লাইসেন্স। একই সঙ্গে পণ্যের অর্ডার থেকে শুরু করে গ্রাহকের হাত থেকে পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন নিয়মকানুন মানতে হবে যা ভোক্তার স্বার্থকে সংরক্ষণ করে। অনলাইনে ব্যবসায় প্রতারণা বন্ধ ও ক্রেতাদের আস্থা তৈরি জন্য ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ শীর্ষক এমন একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। আগামী মাসেই এ বিষয়ক একটি নির্দেশনা জারি হতে যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ই-ক্যাবের ১৩০০ সদস্য ছাড়াও আরও ৫ লাখেরও বেশি ক্ষুদ্র ই-কমার্স ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ব্যবসা করছেন। এসব ব্যবসায়ীদের প্রত্যেক্যের তথ্যপ্রাপ্তি, ভ্যাট নিবন্ধন, কর আদায়ের পাশাপাশি ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণে দ্রুত ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।
যেহেতু ই-কমার্স ক্যাটাগরিতে এখনও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু শুরু হয়নি তাই ফেসবুকভিত্তিক পাঁচ লাখ ই-কমার্স ট্রেড লাইসেন্স নিতে হলে তাদের আইটি বা সফটওয়্যার ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। এ জন্য ফি দিতে হবে ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তবে এলাকা ও ব্যবসার ধরনভেদে ট্রেড লাইসেন্স ফি ভিন্ন হতে পারে।
এর বাইরে ভ্যাট, সাইনবোর্ড ট্যাক্স, ফিজিক্যাল ভিজিট ট্যাক্সসহ প্রায় চার হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এতে সরকারের আয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এছাড়া, প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স আবার নবায়ন করতে হবে।
এই নির্দেশিকার বিধান প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কর্তৃপক্ষ বিক্রেতা বা মার্কেটপ্লেসের ট্রেড লাইসেন্স বা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট নিবন্ধন বাতিল করা এবং সংশ্লিষ্ট মার্কেটপ্লেস নিষিদ্ধ করাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনসহ দেশে প্রচলিত সংশ্লিষ্ট সব আইন এই নির্দেশিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সুত্র: সময় নিউজ