ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: করোনা টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ মানবদেহে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করতে সক্ষম। এই টিকার উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সুইডেনভিত্তিক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা লিমিটেডের (এজেডএন. এল) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতে যেমন কোভিশিল্ড নামে প্রস্তুত করা হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজ, তেমনি ইউরোপের কয়েকটি দেশে এই টিকাটির নাম দেওয়া হয়েছে ভ্যাক্সিভেরা।
সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানি নিজস্ব উদ্যোগে একটি গবেষণা করেছে। গবেষণায় যেসব স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছেন, তারা পূর্বে ভ্যাক্সিভেরা বা এমআরএনএ গ্রুপের (ফাইজার, মডার্না) কোনো একটি টিকার দুই ডোজ নিয়েছিলেন।
স্বেচ্ছাসেবীদের বুস্টার ডোজ হিসেবে ভ্যাক্সিভেরার ডোজ দেওয়া হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর দেখা যায়, সব স্বেচ্ছাসেবীর দেহে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে এবং এই পরিমাণ অ্যান্টিবডি ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ ভালোভাবেই কার্যকর।
এদিকে, এ গবেষণার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা লিমিটেডকে অভিনন্দন জানিয়েছে টিকার প্রস্তুত প্রণালীর (ফর্মুলা) উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু পোলার্ড এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা ছিল। এই গবেষণার মাধ্যমে ওমিক্রন ঠেকাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কার্যকারিতা আরও একবার প্রমাণিত হলো।’
গত ডিসেম্বরে অবশ্য যুক্তরাজ্যেও একই গবেষণা হয়েছিল। সেখানেই ফলাফল এসেছিল এ রকমই।
তবে গবেষণা প্রতিবেদনে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে- এমআরএনএ গ্রুপের টিকা ফাইজার ও মডার্নার বুস্টার সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবডির যোগান দেয়।