আবারও দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলের। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা ও বোতলজাত তেলের দাম ৪ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। বণিকবার্তাকে তথ্যমতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেশি থাকায় দেশের বাজারে সমন্বয় করা হয়েছে। দাম কমলে আবার সমন্বয় করা হবে।
গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা দিবস উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষক যেন ন্যায্যমূল্য পান, তা নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এর কারণে এখন একটু দাম বেড়েছে। আগামী ২৪ তারিখের পর থেকে নতুন দেশী পেঁয়াজ বাজারে উঠবে। তখন দামও কমে যাবে। ভোক্তারা সর্বোচ্চ ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব কেএম আলী আজম বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না, কিন্তু দূষণ কীভাবে রোধ করা যায়, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। প্লাস্টিক শিল্প নীতিমালা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন বলেন, আগামী বাজেটে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জন্য বাজেট বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক লিটার খোলা সয়াবিন মিল গেটে ১১৩, ডিলারের কাছে ১১৫ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম মিল গেটে ১২৭, ডিলারের কাছে ১৩১ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৯ টাকা নির্ধারিত হয়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেলের দাম মিল গেটে ৬২০, ডিলারের কাছে ৬৪০ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া এক লিটারের পাম তেল লুজের (সুপার) দাম মিল গেটে ১০৪, ডিলারের কাছে ১০৬ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০৯ টাকা নির্ধারিত হয়।