আসল লোগো লাগিয়ে নকল পণ্য বিক্রি করছে বিসমিল্লাহ ব্যাটারি সার্ভিস।
আমাদের সমাজে অনেক নকল পণ্য আসল মোড়কে মুড়িয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারক চক্র।
নানা ধরনের অনিয়ম প্রতারণা আমাদের সমাজের জন্য সাধারণ চিত্র হয়ে উঠেছে।
মানুষের বিশ্বাসের জায়গাটা একবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ আসল লোগো দেখে নিশ্চিত হয়ে সঠিক পণ্য ক্রয় করে
কিন্তু সেখানেও জালিয়াতি। আসল মোড়ক লাগিয়ে নকল পণ্য বিক্রির মেলা বসিয়েছে অনেক প্রতারক চক্র।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম আমাদের সমাজে বিদ্যমান। আসল পার্টস খুলে নকল পার্টস লাগিয়ে বিক্রয় করা
এবং সার্ভিস ওয়ারেন্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করে ওয়ারেন্টি না দেওয়া।
তাছাড়া দালালের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করলে অতিরিক্ত কমিশন নেওয়া।
এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে সুমন নামক একজন ভোক্তার নিকট থেকে।
তার ভাষ্যমতে, আমি এক মাস আগে বিসমিল্লাহ ব্যাটারি সার্ভিস থেকে দালালের মাধ্যমে Sandi মিশুক কিনেছি।
বিক্রির সময় তারা বলেছিল তিন মাসে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি দিবে কিন্তু প্রথম অবস্থায় সামনের চাকা বেয়ারিং ভাঙ্গা পায়।
এ বিষয়ে তাদেরকে জানালে তারা বিষয়টি আমলে নেয় না। তারা বলে বডি পার্টস এর কোন গ্যারান্টি নাই।
গাড়িটা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হওয়া পর্যন্ত ১০০০০ টাকার সার্ভিস করানোর প্রয়োজন হয়েছে।
এখন বিক্রি করার সময় জানতে পারি গাড়িটি নকল। গাড়িতে চাইনা গাড়ির লোগো ব্যবহার করে নকল গাড়ি বিক্রি করেছে।
আমাদের সমাজে মানুষ ঠকানো ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
যার ফলে প্রতিনিয়ত প্রতারণা এবং জালিয়াতির শিকার হচ্ছে ভোক্তারা। অপচয় হচ্ছে অনেক টাকা। সমাজে প্রতারক চক্র ভোক্তাদের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে রাজ করে চলেছে। প্রতারকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে ভোক্তা।
ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি নকল পণ্য প্রস্তুত বা উৎপাদন করে তাহলে তার জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। উক্ত ব্যক্তি তিন বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
এসকল অনিয়ম দুর্নীতি আমাদের সমাজে লেগেই আছে। এমন সময় আমাদের সচেতন হতে হবে। প্রতারকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: