মানসিক চাপ দূরীকরণের ওষুধ হচ্ছে ইয়োগা, এই বিষয়টি গবেষণায় প্রমাণিত কিন্তু সেই ইয়োগা প্রশিক্ষণ ক্লাসের নামেই মানসিক চাপে ফেলে দিচ্ছেন কিছু অর্থ প্রিয় মানুষ। ঢাকার রাজারবাগের তাহসিন বিনতে আলমের করা অভিযোগে এই বিষয়টির প্রমাণ মিলেছে। ইয়োগা ক্লাসের নাম করে হচ্ছে টাকা আত্মসাৎ
ইয়োগা চর্চা স্পষ্টভাবে স্ট্রেস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি অ্যাংজাইটির মতো মারাত্মক মানসিক সমস্যার ঝুঁকি কমিয়ে আনে ইয়োগা। ডিপ্রেসন দূরীকরণেও ইয়োগা খুবই কার্যকরী। এই কারণগুলির জন্যেই বহু দেশে এই ইয়োগা খুবই জনপ্রিয়। ইয়োগা এর জন্মস্থান ভারত হলেও এই ইয়োগা চর্চা এখন সারা পৃথিবীতে সমৃদ্ধ স্থান অর্জন করে নিয়েছে। সেজন্যই আমাদের বাংলাদেশের কিছু মানুষজন এই ইয়োগা চর্চায় আগ্রহ পোষণ করে থাকেন।
ঠিক সেভাবেই তাহসান বিনতে আলমেরও ইয়োগা ক্লাস করার ইচ্ছে জাগে এবং তিনি ইয়োগা ক্লাসের জন্য ‘Suhana’s Yoga Studio‘ এর শরণাপন্ন হন। এটি একটি ফেসবুক পেজ এবং সে ফেসবুক পেজ থেকে তিনি স্টুডিওর পরিচালকের নাম্বার নিয়ে থাকেন। তারপর তিনি বারোটি ক্লাসের ডিল করে স্টুডিওর পরিচালককে বিকাশের মাধ্যমে দশ হাজার টাকা পাঠান।
টাকা পাঠানোর পর থেকে ক্লাস শুরু হয়ে যায় এবং তাহসান বিনতে আলম এর মতে এক মাস ১০ দিনের মধ্যে মাত্র দুটি ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় এবং বাকি ক্লাস কয়েকটি ক্যানসেল করে দেওয়া হয় বিনা কারণে। ‘Suhana’s Yoga Studio‘ পরিচালকের ডিল অনুযায়ী ক্লাস না হওয়ার ফলে তাহসান বিনতে আলম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং বুঝতে পারেন যে তিনি তাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ক্লাস বুঝে নিতে পারবেন না। সেই কারণেই তিনি টাকা রিফান্ড চেয়ে থাকেন কিন্তু সে রিফান্ড আর পাওয়া হয়নি।
এই ক্ষেত্রে ‘Suhana’s Yoga Studio‘ এর পরিচালক দাবি করেন যে তাহসান বিনতে আলমের সমস্যার কারণে ক্লাস গুলি নেয়া সম্ভব হয়নি। যা তাহসান বিনতে আলম সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ বলে আখ্যায়িত করেন এবং ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে থাকেন।
ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য ও অপরাধ এর ৫৩ ধারা অনুযায়ী অবহেলা, ইত্যাদি ধারা সেবা গ্রহীতার অর্থ স্বাস্থ্য জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো হলে অনূর্ধ্ব ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবার কথা উল্লেখিত রয়েছে। ইয়োগা ক্লাসের নাম করে হচ্ছে টাকা আত্মসাৎ