১২ কেজি সিলিন্ডারের নির্ধারিত দাম ৮৯১ টাকা হলেও তা এখনো বিক্রি হচ্ছে ১,০০০ থেকে ১,১৫০ টাকায়। চার মাস ধরে বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দাম সমন্বয় করার কথা থাকলেও সরকারি সিদ্ধান্তকে উপেক্ষিত করে প্রশাসন এখনো নিশ্চুপ। এলপিজি গ্যাসের দাম নিয়ে আক্ষেপ এখনো কমেনি
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) মানুষ রান্নার কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকেন এবং বর্তমানে যানবাহনের জ্বালানি হিসেবেও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চার মাস আগে প্রথম এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দেয় । ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৪৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছিলো (ভ্যাটসহ) ৮৯১ টাকা। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে উৎপাদন/বিপণনকারীরাই ডিলার পর্যায়ে মূল্য বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছেন ১,০২০ থেকে ১০৫০ টাকায়।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়মিত দাম সমন্বয়ের বিষয়টি কার্যকর না হওয়ার ফলে সাধারণ ক্রেতাদের আক্ষেপের শেষ নেই। বিইআরসির ঘোষিত এই দাম নিয়ে একদম শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে এ খাতের কোম্পানিগুলোর সংগঠন এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব)। লোয়াব দাম নির্ধারণে গণশুনানি আয়োজন এর আবেদন করে ৭ ও ৮ জুলাই শুনানির জন্য বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে শুনানি স্থগিত হয়ে যায়।
বর্তমান নির্ধারিত দাম অনুযায়ী গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি অটো গ্যাসের মূল্য প্রতি লিটার ৪৪ টাকা। যা গত মাসেও ছিল ৪১ টাকা ৭৪ পয়সা। এই বিষয়টি সম্পর্কে যে কেউ যেকোনো ফিলিং স্টেশন ঘুরেই জানতে পারবে কিন্তু এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কেউ নেই বললেই চলে।
ময়মনসিংহের কলতাপারার বাসিন্দা আরফান আলী বলেন, তিনি গৃহস্থালি রান্নার কাজে ব্যবহৃত ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার কিনেছেন ১ হাজার ২০ টাকায়, যা এই লকডাউন এর মাঝে রিক্সা করে নিয়ে আসতে আরো অতিরিক্ত ১০০ টাকার খরচ করতে হয়েছে।
সাধারণভাবে বলা যায় আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি এলপিজি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালি রান্নার কাজে। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম জুলাই মাসের জন্য ৮৯১ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। তবে তা মানা হচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা দরে এবং সাথে আরো অতিরিক্ত খরচের ফলে সেটি ভোক্তাদের জন্যে এখন এক বড় ভোগান্তির কারণ হয়ে দরিয়েছে।
অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তাদেরও বেশী দামে কিনতে হয় বলে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কিছুদিন আগে নাটোর জেলা কমিটি ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রইস উদ্দিন সরকার ভোক্তাকণ্ঠকে জানান, এই বিষয়গুলোতে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা (BERC) এবং আইন বাস্তবায়নকারী প্রশাসনিক দপ্তরগুলি (জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন ) নিষ্ক্রিয় এবং ভোক্তারা অসহায়। এলপিজি গ্যাসের দাম নিয়ে আক্ষেপ এখনো কমেনি
আরও পড়ুন: এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি, সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষিত প্রশাসন নিশ্চূপ – Voktakantho