কচ্ছপ গতিতে ডেলিভারি দিচ্ছে টেক-ফার্স্ট ডেলিভারি সাপোর্টের প্রতিশ্রুতি দেয়া লজিস্টিক কোম্পানি REDX । এরুপ বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে REDX ডেলিভারির বিরুদ্ধে।
অনলাইন পেইজ বা ই-কমার্স ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এখন অহরহ অভিযোগ আসছে কুরিয়ার
সার্ভিসের বিরুদ্ধে। ডেলিভারি না দেওয়া বা সময়মত ক্রেতার কাছে ডেলিভারি না পৌঁছানো যেন তাদের কাছে
খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়ে উঠেছে। তার এক বিশাল উদাহরণ হচ্ছে REDX Courier Service।
এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিদিষ্ট সময়ে ডেলিভারি না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগী মোঃ রেদয়ানুজ্জামান
সেজান।
স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান REDX ডেলিভারি হল একটি লজিস্টিক কোম্পানি যার লক্ষ্য হচ্ছে টেক-ফার্স্ট ডেলিভারি সাপোর্ট প্রদান
করে বাংলাদেশের সম্প্রসারিত ই-কমার্স সেক্টরে সহায়তা করা।
করোনাকালীন সময়ে বহু মানুষ কুরিয়ার সার্ভিস এর শরণাপন্ন হয়েছেন। মানুষই তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী
আনা নেওয়া করতে দ্বারস্থ হচ্ছেন কুরিয়ার সার্ভিস এর কাছে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি সময়মত ভোক্তাদের কাছে
তাদের পণ্য পৌঁছে দিতে পারছে নাহ।
ভোক্তভোগী মোঃ রেদয়ানুজ্জামান সেজান জানান, তিনি ১৩ জুন একটি পণ্য অর্ডার করেন এবং এক মাসের
বেশি সময় হয়ে গিয়েছে তারা এখনো তাকে পণ্য ডেলিভারি করে নি। কিন্তু তাদের অ্যাপে ডেলিভারি স্ট্যাটাস
পিকড দেখাচ্ছে৷ তিনি বেশ কয়েকবার তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান পাই নি। এ ব্যাপারে ভোক্তা
অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেছেন এবং সুবিচার দাবি করেছেন।
এই করোনাকালে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন ভোক্তারা। কুরিয়ার সার্ভিসের বর্তমান
অবস্থাকে নৈরাজ্যকর বলতে হবে। কোন পণ্যের কত মাশুল হওয়া উচিত, তাও সুনির্দিষ্টভাবে ঠিক করে দেওয়া
উচিত এবং তা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রতিদিনই অনেক মানুষ এফ-কমার্স, ই -কমার্স কিংবা অনলাইন সাইট থেকে নানাভাবে হয়রানির শিকার
হচ্ছেন। হয়রানি কিংবা প্রতারণা রুখতে আমাদের এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ভোক্তাদের হয়রানি বন্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাথে কাজ করছে ভোক্তাকণ্ঠ।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৬ (১) অনুযায়ী, “যে কোন ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন
ভোক্তা বা ভোক্তা হইতে পারেন, এই অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক
বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন”।
কিভাবে অভিযোগ করবেন:
দায়ের করা অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে। ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েবসাইট ইত্যাদি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে অভিযোগ দিতে হবে।
অভিযোগের সঙ্গে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রসিদ সংযুক্ত করতে হবে। অভিযোগকারী তাঁর পূর্ণাঙ্গ নাম,ঠিকানা,ফোন,ই-মেইল ঠিকানা এবং পেশা উল্লেখ করবেন।
ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন যে কোন অভিযোগে ভোক্তাদের প্রতিকার দিতে পাশে আছে ভোক্তাকণ্ঠ। তাই অভিযোগ করুন এবং ভোক্তাকণ্ঠের পাশে থাকুন।
এইচ এম || ভোক্তাকণ্ঠ
ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন
আরো সংবাদ দেখুন: বেড়েছে এফ-কমার্স পেজের প্রতারণার হার, ফাল্গুনী শপের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই, পণ্য, রিফান্ড কিছুই দিচ্ছে না আদিয়ান মার্ট