ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন ভুক্তভোগী ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কালীগঞ্জের কাষ্টভাঙ্গা ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রাশেদুল ইসলাম। ওই ইউনিয়নের সাতগাছিয়া গ্রামের ১৯ জনের কাছ থেকে ১৩ হাজার করে টাকা নেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন রাশেদুল ইসলাম। তার হাতে টাকা দিয়েছেন এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
৪ জানুয়ারি ইউএনওর কাছে দেয়া এ লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে এক বছর আগে রাশেদুল ইসলাম তাদের সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলেন টাকা জমা নেন। গ্রামের কামরুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়ে কয়েকজনের টাকা ইউপি সদস্যদের হাতে তুলে দেন। টাকা দেওয়ার ৮-৯ মাস পরেও ঘর না পাওয়ায় তারা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানায়। এতে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন আসে নি। ভুক্তভোগীদের একজন সাতগাছিয়া গ্রামের রাশিদা বেগম। স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে থাকায় রাশিদা বেগম বাবার বাড়িতে ঝুপড়িতে থাকেন যা বসবাসের অযোগ্য। সেখানে বর্ষার সময় পানি আর শীতে বাতাসের কষ্ট হয়। ঘর পাওয়ার আশায় তিনি ১৩ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ইউপি সদস্যদের কাছে। এক বছর পরও ঘর পাননি। কামরুল ইসলাম বলেন তিনি মধ্যস্থতা করে ইউপি সদস্য রাশেদুলকে টাকা দিয়েছেন।
রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন তিনি নিজ হাতে কোনো টাকা নেননি। যাদের টাকা নেওয়া হয়েছে ঘর দেওয়ার জন্য তাদের জমির কাগজপত্র ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান বিষয়টি সমাধানের জন্য ইউপি সদস্যকে বলেছিলেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী সুবর্ণা রানী সাহা।