ভ্যাকসিন ডিপ্লোয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে সংশয় কাজ করতে পারে কোন ভ্যাকসিন ভালো। আসলে সব ভ্যাকসিনই ভালো, কোনোটাই কোনোটার চেয়ে বেটার না।’
ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে সব ভ্যাকসিনই ভালো এই কথাটা ঠিকই মুখ্য ধরে বুলেটিন টি শেষ করেন।
বিদেশে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ডা. শামসুল হক বলেন, ‘বিদেশে আমাদের অনেক ছেলে-মেয়ে পড়ালেখা করেন। করোনার কারণে তারা দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি পরিপত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের হাতে এসেছে। বিদেশে অধ্যয়নরত এসব শিক্ষার্থীদের করোনা রেজিস্ট্রেশনের আবেদন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্রহণ করবে। তাদের ছাত্রত্ব প্রমাণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং পাসপোর্ট ও ভিসার কপি ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে ই-মেইল করতে হবে।’
আরও পড়ুন: চারটি কারণে করোনা সংক্রমণ থামছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা – Voktakantho
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন— এই চারটা ভ্যাকসিনই গ্রহণযোগ্য। প্রবাসী কর্মী যারা জনশক্তি ব্যুরোর মাধ্যমে ভ্যাকসিন পেতে নিবন্ধন করেছেন, এই চারটি ভ্যাকসিনের যে কোনো একটি গ্রহণ করে বিদেশে গেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। ‘অনেক জায়গায় ফাইজারের টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা মডার্নার টিকা সরবরাহ করেছি। অনেক জায়গায় সেই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে, বাকি কেন্দ্রগুলোতে দু’এক দিনের মধ্যে শুরু হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১২ জনকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ এবং ৬ হাজার ২৬৭ জনকে ফাইজারের প্রথম ডোজ, ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০৪ জনকে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ ও ৩৯ হাজার ৩২৫ জনকে মডার্না টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।