কৃষিনির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতির বাংলাদেশে কৃষকের ফসলের নায্যমূল্য ও প্রান্তিক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে খাদ্যনিরাপত্তা আরও বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উন্নয়ন সংগঠন ‘সুশীলন’র ৩০ বছর পূর্তির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভিশন-২০৪১ ও ডেল্টা পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোর জন্য পৃথক কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় ও চরাঞ্চলের মানুষকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাকে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা প্রচার করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের মাধ্যমে তাদের উন্নয়ন অংশীদার করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অবদান যুক্ত হবে এবং সেই উন্নয়ন টেকসই হবে আশা করছি।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এটা এক সুবর্ণ সুযোগ। এ জাতের ধানের চাষাবাদ সম্পর্কে স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অনাবাদী জমিতে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধান আবাদের প্রসার ঘটিয়ে ধানের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাকে টেকসই করার আহ্বান জানান তিনি।
‘সুশীলন’র কার্যনির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান আ জ ম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভূ, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, মো. আকতারুজ্জামান বাবু, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম তারিকুল ইসলাম এবং সুশীলনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তাফা নুরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
পরে মন্ত্রী উন্নয়ন সংগঠন ‘সুশীলন’র ৩০ বছর পূর্তির মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।