কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, যে গ্যাস আমদানি করা হয়নি সে গ্যাসের আনুমানিক ধার্য করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ২৪ এ আয়োজিত ‘জনতন্ত্র গণতন্ত্র’ অনুষ্ঠানে তিনি বুধবার বলেন, গ্যাস আসবে বলে একটা ভুতুড়ে মূল্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিআরসির আইন হলো এক অর্থ বছরে একবারের বেশি গ্যাসের মূল্য একবার নির্ধারণ করা যাবে। কিন্তু একবার বৃদ্ধি করে আবার পুণনির্ধারণ করা হয়েছে। যা বিইআরসি আইনের পরিপন্থী । বিইআরসি হলো সরকারের আইন দ্ধারা স্বীকৃত একটি স্বাধীন সংস্থা। যার দায়িত্ব হলো ভোক্তাদের স্বার্থ দেখা। সাথে সাথে গ্যাস কোম্পানীগুলো যেন যৌক্তিক লাভজনক পর্যায় থাকে সে বিষয়ের দিকে নজর রেখে স্বচ্ছ এবং যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা।
গোলাম রহমান বলেন, আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে পর্যাপ্ত গ্যাস চাই, তবে সাশ্রয়ী মূল্যে। ২০০৯ সালে গ্যাসের উন্নয়নের জন্য একটি তহবিল করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে বেশ বড় অংকের টাকা জমা আছে। যা ভোক্তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধি করার জন্য এ তহবিল করা হলেও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি ।
তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানীর চাহিদা কমানো প্রয়োজন। যদি দেশে উৎপাদন বাড়ানো যায় তাহলে আমদানী নির্ভরশীলতা কমে যাবে। গ্যাস ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে না উল্লেখ করে ক্যাব সভাপতি বলেন, কাদের স্বার্থে, কেনো উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না?, সে বিষয়টি খুঁজে দেখা দরকার।