৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে ধামাকা শপিং। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিআইডি এবং এই ঘটনা সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যায়। গ্রাহকের টাকা ও ধামাকা
উক্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় ধামাকা শপিংয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।
উপস্থিত ছিলেন সিইও সিরাজুল ইসলাম এবং একাউন্টস এন্ড ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান আমিনূর হোসেন
কিন্তু উপস্থিত ছিলেন না ধামাকার এমডি জসীম উদ্দীন।
তার অনুপস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে দুই কর্মকর্তা জানান, এমডি জসিম উদ্দিন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।
করোনা মহামারীর কারণে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না।
এদিকে সিআইডির মাধ্যমে জানা যায় যে, তিনি গ্রাহকদের পণ্য দেবেন বলে অগ্রিম টাকা নিতেন।
অগ্রিম নেওয়া ৫০ কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে বলে জানা গেছে।
৮ মাসে লেনদেন হওয়া মোট অগ্রিম নেওয়া টাকার পরিমান ৫৮৮ কোটি। উক্ত টাকা “ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম”
নামে খোলা একটি ব্যাংক একাউন্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই একাউন্টে রয়েছে মাত্র ৯৩ হাজার টাকা।
এই অ্যাকাউন্টটি সহ আরো ১৪ টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে এমডি জসিম এর ৫ টি, ইনভ্যারিয়েন্ট
টেলিকমের ৭ টি, মাইক্রো ফুড এন্ড বেভারেজ এর ১ টি ও মাইক্রো ট্রেডের ১ টি।
এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় ধামাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে সিআইডি।
জাতীয় পরিচয় পত্র ব্লক করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
এসব কর্মকর্তারা হলেন, এম ডি জসিম উদ্দিন চিশতী, ডিএমডি নাজিম উদ্দিন, সিইও সিরাজুল ইসলাম,
পরিচালক সাফওয়ান আহমেদ, একাউন্টস ও ফাইন্যান্স প্রধান আমিনূর হোসেন।
তবে এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেননি ধামাকা শপিং এর এমডি জসিম উদ্দিন।
মূলত ১৪ টি ই কমার্স প্রতিষ্ঠান বিষয়ে তদন্ত করে এসব প্রয়োজনীয় তথ্য পায় সিআইডি।
১৪ টি ই কমার্স প্রতিষ্ঠান মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইভ্যালি, আলিশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ,
সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বু্ম, কিউ কম, আদিয়ান মার্ট এবং নিড ডট কম বিডি।
সিআইডি আরো জানান, ধামাকা শপিংয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হবে।
গ্রাহকের টাকা ও ধামাকা
ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন
আরো সংবাদ দেখুন: বিশ্বাস অর্জন করে টাকা পেলেই উধাও, অতঃপর আলি এক্সপ্রেসও নাম লেখালো