সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত জুন মাস থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চালের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এবার চালের দাম বেড়েছে গড়ে ১২ শতাংশ। চালের দামের নতুন রেকর্ড
করোনা মহামারির পাশাপাশি নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও এ বছর বোরোর রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় চাল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে। কিন্তু বছর বছর চালের উৎপাদন বাড়লেও ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমছে না, বরং অন্য সময়ের চেয়ে দাম এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের বেশি চাহিদা মোটা চালের। সেই চালের দামও এখন ৫০ টাকা কেজি। ফলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে সরকার। সংকট কাটাতে বেসরকারিভাবে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক্কে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৩ জুলাই থেকে আবার কড়া লকডাউন – Voktakantho
চলতি মাসের শুরুতে খাদ্যশস্যের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনলাইনে বৈঠক করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনে চালের দাম না কমায় মন্ত্রী, সচিবসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা অস্বস্তি প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে চালের চাহিদা মিটিয়ে আরও ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা। দেশে প্রতি মাসে চালের চাহিদা রয়েছে ২০ লাখ ২৮ হাজার টন। সেই হিসাবে বছরে দেশে চালের চাহিদা প্রায় দুই কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার টন।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই কোটি পাঁচ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ টন। উৎপাদন হয়েছে দুই কোটি আট লাখ ৮৫ হাজার ২৬২ টন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন লাখ তিন হাজার ৯৬২ টন বেশি। একক কোনো ফসলের এমন উৎপাদন এর আগে হয়নি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ১৩ জুলাই পর্যন্ত ১২ লাখ ৮৭ হাজার টন মজুদ ছিল। বাম্পার ফলনেও খাদ্য মজুদ ও সংগ্রহ কম থাকায় এবার সরকার আমদানি বাড়াচ্ছে। অথচ গত কয়েক বছর বেসরকারিভাবে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করে আসছিল সরকার। চালের দামের নতুন রেকর্ড
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ১৩ জুলাই পর্যন্ত ১২ লাখ ৮৭ হাজার টন মজুদ ছিল।