চালের দাম বাড়ায় বিপাকে ভোক্তারা কেননা বাজারে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো চাল।
নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে মোটা চালের চাহিদা বেশি থাকলেও সেই চালের দামও বেড়ে এখন ৫০ টাকা কেজিতে।
গত দুই মাস ধরে বেড়েই যাচ্ছে মোটা চালসহ সব চালের দাম। চালের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষেরও ভোগান্তি বেড়েছে অনেক।
প্রতিবছর বোরো মৌসুম শেষে চালের দাম অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু এবার উল্টো দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের ধারণা, চালের দাম সামনে আরও বাড়বে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধে আয় কমেছে ময়মনসিংহের রাজমিস্ত্রী রতনের। কাজের জন্যে ডাকলেও
সব জায়গায় যেতে পারছেন না। তাই হচ্ছে না প্রয়োজনমাফিক আয়। কিন্তু খরচ বেড়েছে আগের চেয়ে আরো বেশি।
এই খরচের বেশির ভাগ যাচ্ছে দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে।
রাজমিস্ত্রী রতনবাবু ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, “লকডাউনে বাসায় বসে থাকলে মনে হয় ক্ষিদে আরো বেড়ে যায়।
যার ফলে চাল আগে যা লাগত তার থেকে এখন বেশি লাগে। এদিকে চালের দাম কমার নাম নেই।
কাজকর্ম ছাড়া পরিবারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন:[ কাপড়ের রং দিয়ে গুড় অতঃপর জরিমানা – Voktakantho ]
বাজারে সরু চাল নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও লতা ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়।
এ ছাড়া ইরি বা স্বর্ণা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
যা গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশের মতো বেশি দামের।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারিভাবে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কে প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চালের দাম বাড়ায় বিপাকে ভোক্তারা তবে অবস্থা অনুযায়ী পরিমাণ আরও বাড়তে বা কমতে পারে।
রতন বাবুর মত এরকম নিম্নআয়ের মানুষের জন্য হলেও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়া থেকে বিরত রাখা খুবই জরুরী।
VK _AS || ভোক্তাকণ্ঠ
ভোক্তাকণ্ঠ অভিযোগ দায়ের ফর্ম পেতে ক্লিক করুন এখানে
ভোক্তাদের অভিযোগ নিয়ে খবর পড়ুন: ভোক্তা অভিযোগ Archives – Voktakantho