ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চাহিদা অনুযায়ী ফেরি চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর/সংস্থার ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই ও ২০২১-২২ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা পদ্মা সেতু। তার মানে এ নয়, আমাদের অন্যান্য যোগাযোগ বন্ধ হবে। সোমবারও (২৭ জুন) আমাদের শিমুলিয়া, মাঝিঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করেছে। আমাদের যেভাবে চাহিদা থাকবে সেভাবে ব্যবহার করবো। আমরা ফেরি বন্ধ করে দিইনি, সেখানে ছয়টি ফেরি চাহিদা অনুযায়ী পারপার করছে। আমরা সময় নিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আবেগ অনেক ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। পজিটিভ নেগেটিভ অনেক অনুভূতি আছে।’
তিনি বলেন, ‘একজন নেত্রী বলেছিলেন জোড়াতালির সেতু, সেভাবে একজন বল্টু খুললো। এটা ছিল সেতুর অলংকার, কেউ সেই অলংকার ছিনতাই করার চেষ্টা করছে। অসচেতন নেতৃত্বের কারণে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। কিছু মানুষ চোরের সরদারকে ফলো করে, সেটিই ঘটেছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের এটি নিয়ে আবেগ আছে। এটাকে আমি নেতিবাচক ভাবে দেখবো না।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সারাদেশে সেতু হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সংযুক্ত করার। সেটি প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। সারাদেশে রেল হচ্ছে, বিমান যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে। আমরা ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তার মানে আমরা নৌপথ নিয়ে ভাবছি। নৌপথ আন্তর্জাতিক ভাবে সংযুক্ত হয়ে গেছে। ভারত-ভুটান- মিয়ানমারসহ সবদিকেই সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের নৌপথের আরও উন্নত হবে, সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। যে ব্রিজগুলো করা হচ্ছে সেটি ওয়াটার নেভিগেশন ঠিক রেখেই করা হচ্ছে। নৌপথ চলবে, আকাশ পথও বাড়বে, সড়ক পথও স্মুথ হবে এবং রেললাইন ৬৪ জেলা যুক্ত হয়ে যাবে।’