এপেক্স অনলাইন শোরুমে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রাহককে পণ্য না দেয়া এবং প্রাইস ট্যাগ টেম্পারিংয়ের প্রমাণসহ ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেছেন বরগুনার শোয়েব হোসাইন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড। ভালো মানের জুতা সু এর জন্য অনেক নামকরা এ প্রতিষ্ঠানটি অনেকদিন ধরেই বিশ্বস্ততার মান ধরে রেখেছে, কিন্তু কিছু কর্মকান্ড এ বিশ্বাসগুলোকে ভঙ্গ করে দেয়।
এই করোনা মহামারী সময় ছাড়াও অনেকেই apex4u অনলাইন শোরুম থেকে জুতা ক্রয় করে থাকেন। করোনাকালে অনলাইনে জুতা ক্রয় বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু অনলাইনে পণ্য ক্রয় করার পর সঠিক পন্য না পেলে তা খুবই বিরক্তির কারণ হয়ে যায় আমাদের কাছে। শুধু তাই নয় পণ্য ফেরত নেওয়ার বেলায়ও যদি হয়রানির শিকার হতে হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। ঠিক এরকম হয়ে একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন শোয়েব হোসাইন।
শোয়েব হোসাইন এর বর্ণনা অনুযায়ী, “এপেক্সের গিফট ভাউচার দিয়ে দুই জোড়া জুতা অর্ডার করার পর একজোড়া সঠিক পণ্য পেলেও অন্য জোড়া সঠিক ছিল না। এপেক্স এর সাথে এই বিষয়টা জানানোর পরেও যখন তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তখন আমি নিজে অনুসন্ধান করে জানতে পারলাম ভুল যে পন্যটি দিয়েছিল সেটির দাম থেকে আমার অর্ডারকৃত পণ্যের দাম অনেক বেশি ছিল। তখন আমার বুঝার বাকি রইলো না যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে জুতার প্রাইস ট্যাগ টেম্পারিং করেছে বা দাম বদলিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বহুবার জানানোর পরও তারা যখন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তখন আমি মনে করি এপেক্স ধারা আমি প্রতারিত হয়েছি এবং ভোক্তা হিসেবে আমার অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে।” উপরোক্ত ছবিগুলিতে আরো ডিটেলইড বর্ণনা দেয়া আছে।
উনার করা এই অভিযোগটি এখনো নিষ্পত্তিযোগ্য রয়েছে। শোয়েব হোসাইন মনে করেন উনার মত এরকম হয়রানির শিকার হয়তো আরো অনেকই হয়েছেন। এই অভিযোগটি আমলে নেওয়ার পর আশা করি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুব শীঘ্রই পদক্ষেপ নিবেন এরকম হয়রানির শিকার যেন আর কেউ না হয় তা নিশ্চিত করবেন।
আরও পড়ুন : অভিযোগ আর অভিযোগ ইভ্যালি ফাল্গুনী শপের বিরুদ্ধে – VoktaKantho.com