মানুষ অনলাইনের দিকে বেশি ঝুকছে। বিভিন্ন পেইজে যে জিনিস ভাল লাগছে তা সাথে সাথে অর্ডার করছে। কিন্তু অর্ডার
করার আগে অন্তত একবার পেইজটির রিভিউ বা সত্যতা যাচাই করা উচিত সকলের। যাচাই না করে কোন পণ্য অর্ডার
করলে প্রতারণা বা হয়রানির শিকার হতে পারেন ক্রেতারা। এবার এমনি প্রতারণার শিকার হয়েছে নাটোরের মোঃ শামীম
হোসেন। তিনি অনলাইন পেইজ ইলিশ বাড়ি থেকে মাছ অর্ডার করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
ইলিশ বাড়ি একটি ফেইসবুক পেইজ। এখানে ইলিশ মাছ বিক্রি করা হয়। মাছের অর্ডার নিয়ে সেগুলো ক্রেতার ঠিকানায়
পৌছে দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে পণ্যের টাকা অগ্রীম দিতে হবে। আর অগ্রীম টাকা দেওয়াতেই যেন বিপদ হল মোঃ শামীম হোসেনের।
ভুক্তভোগী শামীম হোসেন জানান, তিনি চাঁদপুর থেকে ইলিশ মাছ এর অর্ডার দিয়েছিলাম ইলিশ বাড়ি নামের অনলাইন
পেইজ থেকে। এবং তিনি ভাবেছিলেন সব পেইজেই মাছ কিনতে অগ্রীম টাকা দেওয়া লাগে। তাই তিনি অগ্রীম ৬৩০০
টাকা দিয়েছিলেন কিন্তু মাছ পান নি। টাকা পাওয়ার পর তাকে ব্লকও করে দেওয়া হয়েছিল।
করোনা পরিস্থিতি যেন মানুষের হাত পা বেধে দিয়েছে। ঘর থেকে বের না হতে পেরে প্রায় সব মানুষ অনলাইনে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। আর এরই সুযোগে কিছু আসৎ শ্রেণীর লোক মানুষকে যেভাবে পারছে ঠকাচ্ছে।
আজ কাল অনলাইনে পাওয়া যায় না এমন কিছু নেই। ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস, কম্পিটারের যন্ত্রপাতি, মোবাইল, জামা কাপড়
বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খেলনা, সাজ সজ্জার জিনিসপত্র, বাসা বাড়ি সাজানোর জিনিস, শাকসবজি, মাছ,
মাংস হতে শুরু করে সব কিছু পাওয়া যায়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ না করা আইনত অপরাধ। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেছেন এবং সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
আরো সংবাদ দেখুন: টাকা পেয়েই ক্রেতাকে ব্লক, কচ্ছপ গতিতে ডেলিভারি দিচ্ছে REDX, দারাজের পণ্যে গুণগত মানের নিশ্চয়তা নেই, Transcom Electronics এর বিরুদ্ধে ক্রেতা হয়রানির অভিযোগ
ভোক্তাকণ্ঠ টাকা নিয়েও ইলিশ টাকা নিয়েও ইলিশ