ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনকে মৃদু বা হালকা বলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বজুড়ে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলছেন, ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার ডেল্টা ধরনের তুলনায় বিপজ্জনক না হলেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে মৃদু ভাবার কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য।
বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার শীর্ষ এই সংস্থার প্রধান আরও জানান, যারা ইতোমধ্যেই টিকা নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন কম ক্ষতিকারক হিসেবে দেখা দিলেও ভ্যারিয়েন্টটিকে মোটেই মৃদু হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।
তার ভাষায়, ‘অন্য ভ্যারিয়েন্টদের মতো ওমিক্রনও মানুষকে হাসপাতালে যেতে বাধ্য করছে, এমনকী মানুষ মারাও যাচ্ছে। আসলে এতো তাড়াতাড়ি এবং বিশাল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন যে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য অবকাঠামোর ওপর চাপ বাড়ছে।’
ইউরোপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরিবিষয়ক কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউডের কণ্ঠেও একই সুর। তিনি বলছেন, ‘বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির কারণে আরও বহুবার রূপ বদল করে জন্ম নিতে পারে করোনার আরও কোনো নতুন ভ্যারিয়েন্ট।’
অর্থাৎ ডব্লিউএইচও’র আশঙ্কা, ওমিক্রনের পথ ধরে ভবিষ্যতে আরও বিপজ্জনক কোনো ভ্যারিয়েন্ট দেখা যেতে পারে। ওমিক্রন যত বেশি ছড়ায়, তত বেশি রূপান্তরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে নতুন ও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট আসার সম্ভাবনা বেশি।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ১০ লাখেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে ৭১ শতাংশ। আর আমেরিকার দেশগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১০০ শতাংশ।
বলা হচ্ছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন বিশ্বজুড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের ৯০ শতাংশই টিকা না নেওয়া ব্যক্তি।