ক্রমাগত বাড়তে থাকা ভোজ্য তেলের দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখতে ভ্যাট ও আগাম কর কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যাহার কিংবা কমানোর প্রস্তাব করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। চলতি মাসের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছেও এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ভোজ্য তেলের দাম ভোক্তা পর্যায়ে লিটারে ১০ টাকা করে কমতে পারে। এর ফলে ভোক্তারা কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় : এনবিআরের আওতাধীন বৃহৎ করদাতা ইউনিট-এলটিইউ ভ্যাট অফিস ভোজ্য তেলকে নিত্যপণ্য বিবেচনায় আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট ও আগাম কর বাতিল করে উত্পাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট কর আরোপের প্রস্তাব করেছে সম্প্রতি। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এসব প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে ভ্যাট বিভাগ। এ বিষয়ে সহসা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে ভ্যাট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইত্তেফাককে বলেন, ভ্যাট ছাড় দেওয়া হলে, তা ভোক্তার কাছে যাবে কিনা—সেটি নিশ্চিত নই। তবুও ইস্যুটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে গত প্রায় আড়াই মাস ধরে হুহু করে বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম। গত আড়াই মাস আগে বোতলজাত তেলের দাম লিটারে ৯৫ থেকে ১০৩ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে অন্তত ১৪০ টাকায়। খোলা তেল আড়াই মাস আগে ৯৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ভ্যাট আদায়ও বাড়ছে। কিন্তু এর পুরো চাপ যাচ্ছে সাধারণ ভোক্তার ওপর।