ধামাকা শপিং ( Dhamaka Shopping ) বিভিন্ন অফারে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। অর্ডার এবং টাকা নেয়ার পর পণ্য ডেলিভারিতে কথা ও কাজে মিল নেই। পণ্য না দিয়ে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছে ভোক্তাদের। তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে করছে খামখেয়ালী।
এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তি এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা। ধামাকা শপিং-এর এই ধরনের প্রতারণা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এক ভুক্তভোগী শাকিব রহমান শোভন জানান, ‘আমি ধামাকা শপিং-এ ২ টি অর্ডার করি। অর্ডার নাম্বার যথাক্রমে 613295528182, 419358385348। ১৫ থেকে ২১ দিনে পণ্য দেওয়ার কথা, তাই আমি অর্ডার করি। তবে প্রথম অর্ডারটি করার পর প্রায় ৩ মাস পার হয়ে গেছে তবু পণ্য পাই নি। এমনকি ২য় অর্ডারেরও প্রায় ২ মাস। আমি কোনটাই পাই নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি। তাদের ফোনে কল করেছি ফোন ধরে না, তাদের ফেসবুক পেইজ এ মেসেজ দিয়েও রিপ্লাই পাই নি।’
এছাড়াও একের পর এক সঠিক সময়ে পণ্য হাতে না পাওয়ার অভিযোগ উঠে আসে ধামাকা শপিং ( Dhamaka Shopping ) এর বিরুদ্ধে।
এ যেন রীতিমতো তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে সময়মতো পণ্য না দেয়ার।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর নিয়মানুযায়ী ক্রেতা ও বিক্রেতার অবস্থান একই জেলায় হলে সাত দিনের মধ্যে ডেলিভারি এবং অন্য জেলায় হলে তা সর্বোচ্চ দশ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দিতে হবে। এছাড়া পণ্য না দিলে টাকা ফেরত দিতে হবে এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে।
কোন প্রতিষ্ঠান যদি সময়মতো পণ্য কিংবা টাকা ফেরত না দেয় তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন ভোক্তা।
ভোক্তাদের হয়রানি বন্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাথে কাজ করছে ভোক্তাকণ্ঠ।
ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন যে কোন অভিযোগে ভোক্তাদের প্রতিকার দিতে পাশে আছে ভোক্তাকণ্ঠ।
অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানান অন্যায়ের, পাশে থাকুন ভোক্তাকণ্ঠের।
এছাড়া অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো অবশ্যই লক্ষ্য রাখা জরুরি-
- ক্যাশ অন ডেলিভারি
- কাঙ্ক্ষিত পণ্যের পাবলিক রিভিউ যাচাই
- বিশ্বাসযোগ্য সাইট বা পেজে ক্রয়াদেশ
- অনলাইন ক্রয়াদেশের রসিদ সংরক্ষণ
উপরোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখলে অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয় করে হয়রানি এবং প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন- ভোক্তা অধিকার