রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও ওয়ারী এলাকায় অবস্থিত ৪টি সেমাই ফ্যাক্টরিকে সেমাই তৈরির ময়দায় তেলাপোকার মলের উপস্থিতি এবং নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির জন্য ১,৪০,০০০/- জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
সেই সাথে ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বাজারে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য হ্যান্ড মাইকে সচেতন করা হয়। নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও স্থিতিশীল রাখতে এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে সতর্ক করে অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
তদারকিকালে ভোজ্যতেল, চাল, পেঁয়াজ, ,চিনি, স্যানিটাইজার ও মাস্কসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, অনিবন্ধিত ঔষধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও পণ্য, নকল মাস্ক -স্যানিটাইজার, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৯০,০০০/- জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্যপণ্য তৈরিতে সকলের সহযোগিতা এবং আসন্ন ঈদুল আজহা ও সরকারি কঠোর বিধি নিষেধ চলাকালীন এই সময়ে মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্য ও যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় করতে ব্যবসায়ীদের আহবান জানান। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিধি মেনে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।
ভোক্তা অধিদপ্তর বলেছে, সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের সময় ও আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।