মালামাল চুরির অভিযোগ উঠছে দেশের শীর্ষস্থানীয় পণ্য পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে। রাজশাহীর মোহাম্মদ আহসান হাবীব প্রমাণসহ ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে এই অভিযোগটি করেন।
সুন্দরবন কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস লিমিটেড বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ৬৪ জেলায় সর্বমোট ৫৬০ টি লোকাল অফিস এবং দেশের বাহিরে ১৬৫ টি বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে । দেশের অভ্যন্তরে পার্সেল,কন্ডিশন,হোম ও অফিস ডেলিভার সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
বর্তমান সময়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খুবই বিশ্বস্ত এক কুরিয়ার সার্ভিস। করোনাকালে এই সময় অন্যান্য নতুন অনেক কুরিয়ার সার্ভিস এর প্রচলন হলেও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মত বিশ্বস্ত আর কোনও কুরিয়ার সার্ভিসকে বলা সম্ভব নয়। সেবার নামে কুরিয়ার সার্ভিসের গ্রাহকের সাথে প্রতারনা এবং চুরি এই বিশ্বস্ত বিষয়টিকে নড়বড়ে করে দিয়েছে।
পেশায় ছাত্র মোঃ আহসান হাবীবের বর্ণনামতে, “আমি রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম এর ৪০ কেজি আম পাঠিয়েছিলাম। যা রাত তিনটার সময় চট্টগ্রাম পৌঁছায়। আমি দুইটি ক্যারাটে আম প্যাকিং করে দেওয়ার পরেও সেখানে একটি ক্যারেট আম পৌঁছায় এবং আরেকটি ক্যারাটে জায়গায় সেখানে বস্তা পৌঁছায়। যেই একটি ক্যারেট পেয়েছে সেই একটি ক্যারেটও একটু ভাঙ্গা ছিল। ৪০ কেজি আম থাকার কথা থাকলেও সেখানে তিন কেজি কম ছিল। আমি যেই রকমের আম গুলো পাঠিয়েছিলাম সেই রকমের সব আমগুলোও পাঠানো হয়নি সেখানে।”
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আগে আরো অনেক থাকলেও তা অনেকটাই শিথিল হয়ে গিয়েছিল এই লকডাউনে কিন্তু এরকম আরেকটি অভিযোগ বিষয়টিকে আবারো উজ্জীবিত করে তুললো।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভাষ্যমতে এসব বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে তার যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন : ভোগান্তিতে ফেলানোই যেন রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ – VoktaKantho.com