মাকে উপহার দিবে বলে শাড়ি অর্ডার করলে তা আর পৌঁছায় নি। পাঠাও কুরিয়ারের দায়িত্বহীনতা পণ্যটি না পৌঁছানোর কারণ।
অনলাইনে অর্ডারকৃত পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে এক ব্যবসায়ী পাঠাও কুরিয়ার ব্যবহার করেন। তবে পাঠাও কুরিয়ার পণ্যটি ডেলিভারি করেনি, উল্টো নানান ভুল তথ্য দিয়ে হয়রানি এবং ক্ষতি করেছে বলে দাবি করেন ফারহান শাহরিয়ার নামের সেই ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, ‘গত ০৫ মে ২০২১ একটি পার্সেল ডেলিভারি রিকুয়েস্ট রাখা হয়। ঢাকার বাহিরের যে কোন স্থানে ৩-৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করবে বলে পার্সেল ডেলিভারি রিকুয়েস্ট রাখা হয়। অথচ ৩০শে মে এখন পর্যন্ত পার্সেলটি ডেলিভারি করেনি। সর্বোচ্চ ১১ মে ২০২১ এর মধ্যে পণ্য ডেলিভারির কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না করলে আমি তাদের হটলাইন নম্বরে কল দেই। সেখানে কল দিয়ে অনেকবার রিপোর্ট করেছি কিন্তু তাতে কোন সমাধান হয়নি। তারা আমাকে ভুল তথ্য দিয়ে হয়রানি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইনে কল করলে তারা আমাকে জানায় যে ক্লাইন্ট নাকি অর্ডারটি ক্যান্সেল করে দিয়েছে এবং পরে তারা রিটার্ন পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পর আমি যখন আমার ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানাই তখন ক্লাইন্ট জানায় যে তাকে পাঠাও থেকে কোন কল করে নাই।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘অগ্রিম ডেলিভারি চার্জ নিয়ে নিজে থেকে অর্ডার ক্যানসেল করে দিয়েছে পাঠাও কুরিয়ার। এমনকি অর্ডার ক্যানসেল করার পরে পাঠাও কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী কিংবা গ্রাহক কারো সাথেই যোগাযোগ করেনি।’
‘ডেলিভারির জন্য কোম্পানি দিবে ৩০ টাকা অথচ খরচ হবে ৭০ টাকা’
মে মাসের ২০/২১ তারিখের দিকে খুলনার এক ডেলিভারি ম্যান পার্সেলটি ডেলিভারি না করার পেছনে উপরোক্ত যুক্তি দেন বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ী ফারহান শাহরিয়ার বলেন, এমনটা কোম্পানির ভিতরের ব্যাপার। এসবের জন্য আমি কেন ঝামেলায় পড়বো! পাঠাও তো আমাদের থেকে ফি নিচ্ছে তবে ডেলিভারি তারা যথাসময়ে করবে না কেন!
তিনি জানান, ‘মে মাসের ৫ তারিখে পণ্যটি ডেলিভারির জন্য দিলেও মে মাসের ৩০ তারিখে তারা কাভারেজ এরিয়ার মধ্যে পড়ে নি কারণ দেখিয়ে পার্সেল ডেলিভারি ক্যান্সেল করে দেয়। কিন্তু পাঠাও এর কাভারেজ এরিয়া ওয়েবসাইট থেকে চেক করা যায়। সেগুলো চেক করে সিলেক্ট করতে হয়, তা না হলে ডেলিভারি রিকুয়েষ্ট রাখা যায় না। আমি তাদের সব শর্ত মেনে ডেলিভারি রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছি এবং ঐ এরিয়াতে তারা ডেলিভারি করতে পারবে বলেই আমাদের থেকে পার্সেলটি তারা গ্রহন করেছিল।’
এই ক্ষতির পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা এবং আমি আর ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
ফারহান শাহরিয়ার বলেন, ‘তাদের এই গাফিলতির কারণে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। আমাদের ক্লায়েন্ট খারাপ রিভিউ দিয়েছে আমাদের সার্ভিস নিয়ে এবং সে কারণে অন্যান্য ক্লায়েন্ট এখন পণ্য কিনতে চাইছে না আমাদের পেজ থেকে।’
তিনি বলেন, ‘আমার পাঠাও মার্চেন্ট প্রোফাইল নাম ফারহান শাহরিয়ার এবং Womens Shopping House নামে রেজিস্টার করা আছে। Ruba Fashoin নামের একটি স্টোর থেকে পার্সেল ডেলিভারির রিকোয়েস্ট করি।’
ভোক্তাদের এই ধরনের হয়রানি বন্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাথে কাজ করছে ভোক্তাকণ্ঠ।
কোন প্রতিষ্ঠান যদি সময়মতো পণ্য না দিলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন ভোক্তা। মনে রাখবেন, ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন যে কোন অভিযোগে ভোক্তাদের প্রতিকার দিতে পাশে আছে ভোক্তাকণ্ঠ।
অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানান অন্যায়ের, পাশে থাকুন ভোক্তাকণ্ঠের।