বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেশে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এজন্য সরকারকে একটি ‘শিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি’গঠন করতে বলা হয়েছে। এই কমিটি সুপারিশ করবে কোন পর্যায়ে কোন স্তরের পাঠ্যসূচিতে ভাষণটি অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ রায় দিয়েছেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ।
রুল শুনানিতে আবেদনকারী আইনজীবী বশির আহমেদ ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও মো. তাহিরুল ইসলাম।
অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করতে বলেছেন আদালত। তবে সেটি এসএসসি, এইচএসসি না উচ্চ শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তার জন্য একটি কমিটি করতে বলেছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তা নির্ধারণ করতে বলেছে।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন,‘আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। এখন এটা কোন পর্যায়ে হবে কীভাবে হবে, সেটা একটা শিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্ধারণ করে দেবে। এই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে কারা থাকবেন সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে দিয়ে দিবেন লিখিত রায় বের হওয়ার আগেই। সরকার কমিটি গঠন করে দিলে এতে সংযোজন বিয়োজন করে আদালত চূড়ান্ত করবে। পরে রিটেন জাজমেন্টে যে সময়সীমা দিবেন সে অনুযায়ী তা করা হবে।’
বিভিন্ন দেশের ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করেছে ইউনেস্কো।