ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: পাম অয়েলের রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে ইন্দোনেশিয়া। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। ইন্দোনেশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারে পাম অয়েলসহ খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল উৎপাদন হয় ইন্দোনেশিয়ায়। মোট উৎপাদনের ৫৮ শতাংশের মতো হয় দেশটিতে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়ায় উৎপাদন হয় ২৬ শতাংশের মতো।
রপ্তানিতেও শীর্ষস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। তবে চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার খোদ ইন্দোনেশিয়াই সংকটে পড়েছে। বিশ্বের সূর্যমুখী তেলের সিংহভাগই উৎপাদন হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চল থেকে সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ প্রায় বন্ধ থাকায় বিভিন্ন দেশ এখন পাম অয়েলের জন্য ইন্দোনেশিয়ামুখী হচ্ছে। ফলে দেশটির ভোজ্যতেলের মজুতে টান পড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সিদ্ধান্তের ফলে বিকল্প ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। কারণ প্রতিবছর আমদানি হওয়া ১৩-১৪ লাখ টন পাম অয়েলের প্রায় ৭০ শতাংশ আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে। বাকিটা মালয়েশিয়া থেকে।
টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আথহার তসলিম গতকাল শনিবার বলেন, ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় মালয়েশিয়ামুখী হবে বাংলাদেশ। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা পাম অয়েলের দাম প্রায় সমান। জাহাজ ভাড়াও কাছাকাছি।
ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি বন্ধের প্রভাব বাংলাদশের বাজারেও কিছুটা পড়বে বলে মনে করেন সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা। তিনি জানান, ঈদের পর সরকারের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে।
যদিও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মত দিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতি টন পাম ও সয়াবিন তেলের দামের পার্থক্য ৮০ থেকে ৯০ ডলার। সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ছয় টাকার মতো বেশি। এখন পাম অয়েলের আমদানি কমে সয়াবিন তেলের আমদানি বাড়বে।