শিক্ষার্থীরা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া উপবৃত্তির টাকা খোয়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে পাবনার বেড়া উপজেলা থেকে। গ্রামের শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে সীমিত জ্ঞান ও তাদের সরলতার সুযোগে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর হাতিয়ে নিতে ফাঁদ পাতছে প্রতারকেরা।
সপ্তাহখানেক হলো সপ্তম, অষ্টম, নবম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা আসছে। এর মধ্যে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি ও করোনাকালীন সহায়তা মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে পাচ্ছে।
সাত-আটজন শিক্ষার্থী জানায়, বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আসার পর মুঠোফোনের অপরিচিত নম্বর থেকে প্রতারক চক্রের কল আসে। সেখানে বলা হয়, ‘হ্যালো, আমি বিকাশ থেকে বলছি। আমাদের এখানে সিকিউরিটি প্রবলেম হচ্ছে। আমরা আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেব। তার আগে দেখেন আপনার অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা ঢুকেছে কি না।
যদি টাকা ঢুকে থাকে, তবে ওই টাকা আপনি তুলতে পারবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আমাদের অফিস থেকে সিকিউরিটি পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে না নেবেন’, এমন তথ্য জানা যায়, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বিকাশ এজেন্টদের কাছ থেকে।
গ্রামের শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ফাঁদে ফেলছে প্রতারকরা। কৌশলে পিন নম্বর সংগ্রহ করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিকাশ অ্যাকাউন্টের সব টাকা।
গত এক সপ্তাহে বেড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কাশিনাথপুর ও আমিনপুর এলাকাতেই অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর প্রতারিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।