আন্তর্জাতিক স্তরের সাইার সিকিউরিটি গবেষকদের মতে, ২০১৯ সাল থেকে ডেটা বিক্রি করেছে হ্যাকাররা। চলতি বছর এসে নতুন করে তা বিক্রি করা সম্ভব নয়, সেই জন্য তারা সবটা আপলোড করে রেখেছে ওয়েবসাইটে, যাতে যে কেউ তা ডাউনলোড করে নিতে পারে। ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো ডার্ক ওয়েব নামের এক ওয়েবসাইটে আপলোড করে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, যে ডেটা স্ক্র্যাপিং পদ্ধতির সাহায্যে এই তথ্য হাতে পেয়েছে হ্যাকাররা। কোনো ওয়েবসাইটের তথ্য যখন কোনো কম্পিউটারের ফাইলে ইমপোর্ট করা হয়, সেই পদ্ধতিকে বলা হয় ডেটা স্ক্র্যাপিং। ফেসবুক জানিয়েছে যে ডেটা স্ক্র্যাপড হওয়া এই তথ্য ২০১৯ সালের।
এর মধ্যেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চাররা প্রমাণ পেয়েছেন, সব তথ্যর মধ্যে কয়েকটি ফোন নম্বর, কিছু মেইল আইডি এখন পর্যন্ত সক্রিয় রয়েছে। এই অবস্থায় ঠিক কী ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন ইউজাররা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। হ্যাকাররা নানা ফিশিং মেইল পাঠিয়ে বা স্প্যাম কলের মাধ্যমে ইউজারের ব্যাঙ্কের তথ্য হাতানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই এই সবে পাত্তা না দেয়াটাই উচিত হবে।
তবে রাজশেখরের বক্তব্য ইউজারের নাম, ফেসবুক আইডি, জন্মতারিখ, লোকেশন, ফোন নম্বর, মেইল আইডি- এই সব খুব সম্ভবত একেবারে হাতে পায়নি হ্যাকাররা, পেয়েছে ধাপে ধাপে। অনেক সময়েই সংস্থা কোনো তৃতীয় পক্ষকে কাজের জন্য কিছু তথ্য দিয়ে থাকে।
ফেসবুকও তথ্যসুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি সংস্থার মধ্যে এই তথ্য ভাগ করে দিয়েছিল। কিন্তু হ্যাকাররা সেই থার্ড পার্টির কাছ থেকে তথ্যগুলো হাতিয়ে নিয়েছে।