রাজধানীর শুক্রাবাদ, কলাবাগান, পান্থপথ, সায়েন্সল্যাব এলাকায় কাজের জন্য মানুষের চলাচল অন্য সব দিনের মতোই দেখা গেছে। কেবল নেই গণপরিবহন তথা বাস। সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের অফিস খোলা রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর চাকরিজীবী মানুষ। বাধ্য হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে অধিকাংশ মানুষই ব্যবহার করছেন রিকশা। রাজধানীতে এখন চলাচলের একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠেছে বাহনটি। ভাড়া দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ, সেটি সমস্যা নয় বরং গন্তব্যে পৌঁছানোই মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে অনেকের কাছে।
রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি- প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা গিয়েছে। সাধারণ মানুষদের দেখা গিয়েছে রিকশা কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। সিএনজির ভাড়া তুলনামূলক বেশি হওয়ায় রিকশাতেই ঝুঁকেছেন বেশিরভাগ মানুষ। সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন রিকশাচালকরা।
চাকরিজীবী শাহাদাত হোসেন বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া লাগলেও চাকরি বাঁচাতে সময়মতো অফিসে পৌঁছানো লাগবে। আর অফিস খোলা রাখা হয়েছে, অথচ গণপরিবহন নেই। আমরা যারা চাকরি করি, তারা কয় টাকা বেতন পাই? এত টাকা ভাড়া দিয়ে যাতায়াত সম্ভব? যারা এই সিদ্ধান্তগুলো নেন তাদের বিষয়গুলো ভাবা উচিত।
অতিরিক্ত ভাড়া নয়, বরং সামনে কঠোর লকডাউনে যখন সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হবে তখন জীবনযাপনের জন্য কিছু অতিরিক্ত টাকা আয়ের চেষ্টা করছেন। গতকাল (সোমবার) সারাদিনে ৬০০ টাকা আয় হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ টাকা জমা দিতে হয়েছে গ্যারেজে আর খাবার বাবদ খরচ হয়েছে ১০০ টাকা। গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী ও পরিবার-পরিজন রয়েছে, তাদের টাকা পাঠাতে হয়। সামনে আবার কঠোর লকডাউন আসছে। তখন সবকিছু বন্ধ থাকবে। তাহলে আমরা কীভাবে চলব? বলছেন, রিকশাচালকরা।
লকডাউনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস চলবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল দিয়ে। সেক্ষেত্রে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মী আনা-নেওয়া করতে হবে।