চলমান লকডাউন ও বিধিনিষেধের ধকল আবার সাথে যোগ হয়েছে আষাঢ়ের বর্ষণ! এ অবস্থায় চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে রাজশাহীতে আমের ব্যবসায় এবার ধস নেমেছে।
লকডাউনের প্রভাবে রাজশাহীতে অব্যাহতভাবে আমের দাম ও ক্রেতা কমছে। বাজার মন্দা থাকায় চাষি ও ব্যবসায়ীরা এখন আর গাছ থেকে আম পাড়তেই সাহস পাচ্ছেন না। ফলে গাছেই পেকে নষ্ট হতে শুরু করেছে রাজশাহীর সুস্বাদু আম। এতে করে আম ব্যবসায় শেষ পর্যন্ত ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজশাহীর অন্যতম প্রধান অর্থকরী এ ফল বিক্রি করতে না পারলে ব্যাপক লোকসানে পড়বেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে রাজশাহী মহানগরীতে গত ১১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ‘বিশেষ লকডাউন’ জারি করে জেলা প্রশাসন। পরে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসার পর রাজশাহীর আমচাষিদের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। বর্তমানে আমের ভরা মৌসুমের শেষের দিকে। অথচ এখন পর্যন্ত রাজশাহীর বেশির ভাগ চাষি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ খরচই তুলতে পারেননি। আবার বাগানের ৪০ শতাংশ আমও গাছে থেকে গেছে। ফলে আম ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
আমচাষিরা মতে, মৌসুমের শুরু থেকেই বাজার নিম্নমুখী। আমের সরবরাহের তুলনায় ক্রেতা অনেক কম থাকায় বেচাকেনায় ধস নেমেছে। বেশির ভাগ চাষি উৎপাদন খরচ তুলতে পারেননি। অন্য দিকে ৪০ শতাংশ আম এখনো গাছেই থেকে গেছে। বাজারে এখন কিছু আম্রপালি ও ফজলি আম মিলছে। আর কিছু থেকে গেছে গাছেই। আর মৌসুমের শেষ আম আশ্বিনা ও বারি-৪ গাছে রয়েছে পরিপক্বতার অপেক্ষায়। এই অবস্থায় কঠোর লকডাউন তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।