ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ভারত ও রাশিয়া বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে চায় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মঙ্গলবার (২৪ মে) একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের ৭ থেকে ৮টি কোম্পানি গম রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা দেখল প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য গম রপ্তানিতে কোনো অসুবিধা নেই। এই আটটি কোম্পানি বাংলাদেশকে অফার লেটার দিয়েছে। অফার লেটারগুলো ভারতের দূতাবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অফার দেওয়া কোম্পানিগুলো গম রপ্তানি করার মতো যোগ্য কি না, তা যাচাই-বাছাই করে এবং দাম নির্ধারণ করার পর গম আনা হবে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে এবং দরদাম মিলে তাহলে গম আনা হবে।
রাশিয়া থেকেও সোমবার গম রপ্তানির বিষয়ে একটি অফার লেটার এসেছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, রাশিয়া থেকে গম আনায় কখনো অসুবিধা ছিল না। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ডলারে পেমেন্ট করার বিষয়ে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। খাদ্যশস্য ডলারে পেমেন্ট বিষয়ে দুই থেকে তিন দিন আগে আমেরিকা তাদের এমবার্গো তুলে নেওয়ায় আর কোনো অসুবিধা নেই।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ভারত থেকে কখনো গম নিইনি। শুধু যুদ্ধের কারণে ছয়টা টেন্ডার করা হয়েছে। প্রতি টেন্ডারে ৫০ হাজার টন করে এবং ৩ লাখ টন গম এলসি খোলা হয়েছে। এর মধ্যে দেড় লাখ টন গম বাংলাদেশে পৌঁছে গিয়েছে। আর বাকি দেড় লাখ টন আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে আন্তর্জাতিক বাজারে গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)।
ওই দিন ডিজিএফটির বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে যেসব বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, সেসবের বিপরীতে গমের চালান পাঠানো যাবে। তবে ১৪ মে থেকে আন্তর্জাতিক কোনো ক্রেতার অর্ডার আর নেওয়া হবে না। তবে কোনো দেশ যদি বিশেষভাবে ভারত সরকারের কাছে গম পাঠানোর অনুরোধ করে, সেক্ষেত্রে অবশ্য রপ্তানির বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডিজিএফটির বিজ্ঞপ্তিতে।