কন্দ জাতের পেঁয়াজ শেষ হওয়ার মুহূর্তে নাটোরের হাটবাজারে আসতে শুরু করেছে চারা জাতের পেঁয়াজ। কন্দ জাতের পেঁয়াজ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও চারা জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়।
সময়ে নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়: প্রতি বিঘা জমিতে সার, সেচ ও শ্রমিক বাবদ পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয় ৬০-৬৫ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি বিঘায় ৬৫ থেকে ৭০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর ৪ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৮০১ হেক্টর জমিতে। কৃষকদের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার আহ্বান জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার।
বলেন, আগস্ট মাসের আগে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে। এ জন্য ওই সময়ের মধ্যে আমদানি না করতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চলতি বছর নাটোর জেলায় ৭২ লাখ টাকার প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। আর প্রণোদনার টাকা দিয়ে ২১০ হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।
ছবিঃ সংগ্রহীত