বাজার অভিযানের সুফল পাচ্ছে না ভোক্তারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মোয়াজ্জেম হোসেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে বাজারে আসলেই সব হিসেব উল্টে যায় তার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চালানোয় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মতে, প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিটি পণ্যের দাম।

শুধু মোয়াজ্জেম হোসেনই নয়, তার মত অনেকই ঊর্ধ্বগতির বাজারে পণ্য কিনতে এসে নাজেহাল হচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়েই বেশি দামে পণ্য কিনছেন তারা।

রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার ঘুরে কয়েকজন ভোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজার সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রিত। সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কোনোভাবেই ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের নামে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজারে অভিযান চালালেও সাধারণ ভোক্তারা এর কোনো সুফলই পাচ্ছেন না। অভিযানের সময় সরকার নির্ধারিত দাম চাইলেও পরে সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ইচ্ছে মত দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করলেও স্থায়ী কোনো সমাধান পাচ্ছেন না ভোক্তারা।

ভোক্তাদের অভিযোগ, নিত্যপণ্যের বাজার সামলাতে সরকারি-বেসরকারি বেশ কিছু নিয়ন্ত্রক সংস্থা মিলে কাজ করছে। এই সংস্থাগুলোও আবার টিম আকারে সারাদেশে বাজার মনিটর করছে। অনিয়ম দেখলে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। সরকারকে বাজার পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদনও দিচ্ছে এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু তাতেও স্বস্তি পাচ্ছে না ভোক্তারা। উল্টো দিন দিন বেড়ে চলা নিত্যপণ্যের দামে নাকাল হয়ে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে ঠিকই মুনাফা লুটে নিচ্ছে। তারা বলছেন, এসব সংস্থার নির্দেশ অনেকেই মানছে না।

কখন কোন সংস্থা কোন নির্দেশ দিচ্ছে, তা কে মানছে আর কে মানছে না, তা তদারকির কেউ নাই।

এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দাবি, কঠোর নজরদারি, নিয়মিত তদারকি এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বাজার সামলানোর কাজে ব্যস্ত সরকারের সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ট্যারিফ কমিশন, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশন। এর বাইরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও দেশব্যাপী জেলা প্রশাসন প্রতিনিয়ত বাজার মনিটর করছে। একইসঙ্গে বাজারে আগে থেকেই কাজ করছে সরকারের চারটি গোয়েন্দা সংস্থা। এসব সংস্থার গঠিত পৃথক টিম প্রতিদিনই খোঁজখবর নিচ্ছে নিত্যপণ্যের মূল্য, সরবরাহ ও মজুত পরিস্থিতির। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বাজারে মূল্য পরিস্থিতি ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি নিত্যপণ্য (মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, চিনি, খেজুর ও ছোলা) বিক্রি করছে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে। এ ছাড়া পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর ৪৬ সদস্য বাজার তদারকি করবেন।

এছাড়া দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসীর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে ১৭ সদস্যের টস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম প্রতিদিনই বাজারে যায়। একজন উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত এই মনিটরিং টিম নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি দেখে প্রতিদিনই বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও দেয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) বিভিন্ন প্যাকেটজাত পণ্যের গায়ে দাম লেখা আছে কিনা বা এর বেশি দাম নিচ্ছে কিনা বা উৎপাদন ও ব্যবহারের মেয়াদ ঠিক মতো আছে কিনা বা কেউ কোনো পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে কিনা তা দেখভাল করে। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন র্যা ব, পুলিশ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ ছাড়া সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর টিম বাজারের বিভিন্ন প্রকার নিত্যপণ্য আমদানি, সরবরাহ ও মজুত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের এতো সংস্থা কাজ করার পরেও রমজানের প্রথম দিনেই হঠাৎ করেই বেগুন ১০০ টাকা কেজি শশা/খিরা ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ এবং গরুর মাংস ৭৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা, যা পূর্বের দামের থেকে কেজি প্রতি ২০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

কারওয়ান বাজারে পরিদর্শনে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর কাজ না প্রতিদিন বাজারে এসে দেখে বেড়ানো। আমি যদি প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা বাজারে ব্যয় করি, তাহলে রপ্তানির যে ৫০ বিলিয়ন টার্গেট করলাম সেটা আমি কীভাবে কন্ট্রোল করবো!

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকারকে নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত বাজার তদারকির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিশেষ করে তেলের বাজারের অস্থিরতা ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকির ফলে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এছাড়া রমজান আসলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এক লাফে অনেক মুনাফা করতে শুরু করে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কৃষি বিপণনের পক্ষ থেকে যে তালিকা দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না তা সময় যাচাই করা হয়। যদি এর বত্যায় ঘটে তাহলে সেই ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হয়।

তিনি মনে করেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের বাজার তদারকির ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণে আসছে। এর সুফল পাচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা।

কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তাদের সাধ্য মত চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই সংস্থ্যাগুলো যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ না করতো তাহলে হয়তো জিনিসপত্রের দাম আরও লাগামহীন হতো। ব্যবসায়ীরা আরও ব্যাপোরয়া হতো। ভোক্তারা আরও প্রতারিত হতো।

তিনি বলেন, এই অভিযানগুলোর মাধ্যমে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন হচ্ছে না। তবে এসব অভিযান যদি আরও যোড়দার করা হয় তবে সাধারণ ভোক্তারা এর সুফল পেতে শুরু করবে। কিন্তু যেসব সংস্থা অভিযান চালাবে তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেন সৎ ব্যবসায়ীরা কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হয়।

তিনি বলেন, যারা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে খেলে সেই অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে চরম ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। তাই সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
চালের দাম
প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা, নাজিরশাইল প্রতিকেজি ৭৫ টাকা, আমন পাইজাম প্রতিকেজি ৫৮ টাকা, পারিজা, স্বর্ণা প্রতিকেজি ৫৫ টাকা, বিআর-১১, বিআর-৮ প্রতিকেজি ৫২ টাকা, কাটারীভোগ প্রতিকেজি ১০০ টাকা, চিনিগুঁড়া প্রতিকেজি ১০৫ টাকা, কালজিরা প্রতিকেজি ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আটার দাম
আটা (খোলা) প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা, আটা (পলিপ্যাক) প্রতিকেজি ৪৫ টাকা, ময়দা (খোলা) প্রতিকেজি ৫৬ টাকা, ময়দা (পলিপ্যাক) প্রতিকেজি ৬০ টাকা, সুজি (খোলা) প্রতিকেজি ৮০ টাকা এবং সুজি (পলিপ্যাক) প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়।

ডালের দাম
মসুর ডাল (দেশি) প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, মসুর ডাল প্রতিকেজি ১০০ টাকা, মুগ ডাল (দেশি) প্রতিকেজি ১৩০ টাকা, ছোলা (আস্ত) প্রতিকেজি ৮০ টাকা, মটর (দেশি) প্রতিকেজি ৮৫ টাকা, মটর (আমাদানি) প্রতিকেজি ৮০, খেশারি প্রতিকেজি ৮০ টাকা।

তেলের দাম
সয়াবিল (খোলা) প্রতি লিটার ১৬০ টাকা, সয়াবিল (বোতলজাত) প্রতি লিটার ১৬৫ টাকা, পাম তেল (খোলা) প্রতি লিটার ১৫০ টাকা, সরিষার তেল (খোলা) প্রতি লিটার ২৮০ টাকা, নারিকেল তেল প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা।

সবজি ঘি (ডালডা) প্রতিকেজি ১৯০ টাকা, ঘি প্রতিকেজি ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দাম
রুই দেশি (ছোট) প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, রুই দেশি (বড়) প্রতিকেজি ৫৬০ টাকা, রুই (আমদানি) প্রতিকেজি ২৮৫ টাকা, কাতল (দেশি) প্রতিকেজি ৩৮০ টাকা, কাতল (আমদানি) প্রতিকেজি ২৭৫ টাকা, ইলিশ (৫০০ গ্রাম) প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা, ইলিশ (১-২ কেজি) প্রতিকেজি ১৩০০ টাকা, পাংগাস প্রতিকেজি ১৭৫ টাকা, সিলভার কার্প (১-২ কেজি) প্রতিকেজি ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প (বড়) প্রতিকেজি ২৬৫ টাকা, চিংড়ি মাছ (ছোট) প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ (বড়) প্রতিকেজি ৯৭০ টাকা, শিং (ছোট) প্রতিকেজি ৭৬০ টাকা, শিং (বড়) প্রতিকেজি ১০০০ টাকা, কৈ (ছোট) প্রতিকেজি ৪৫০ টাকা, কৈ (বড়) প্রতিকেজি ৫৫০ টাকা।

মোরগ-মুরগীর দাম
দেশি মুরগী (বড়) প্রতিকেজি ৫৬০ টাকা, দেশি মুরগী (মাঝারী ৮০০ গ্রাম) প্রতিকেজি ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগী (ছোট ৫০০ গ্রাম) প্রতিকেজি ২৮০ টাকা, ফার্মের ব্রয়লার মুরগী প্রতিকেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ৭০০-৭৫০ টাকা, প্রতিকেজি খাসীর মাংসের দাম নেয়া হচ্ছে ১০০০ টাকা।

ডিমের দাম
ফার্মের মরগীর লাল ডিম প্রতি হালি ৩৮ টাকা, ফার্মের মুরগীর সাদা ডিম প্রতি হালি ৩৮ টাকা, দেশি মুরগীর ডিম প্রতি হালি ৬০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৬০ টাকা।

মসলার দাম
পেঁয়াজ (দেশি) প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ (আমদানি) প্রতিকেজি ৩০ টাকা, রসুন (দেশি) প্রতিকেজি ৮০ টাকা, রসুন (এক দানা) প্রতিকেজি ২০০ টাকা, রসুন (আমদানি) প্রতিকেজি ১৩০ টাকা, হলুদ প্রতিকেজি ২০০ টাকা, আদা (দেশি) প্রতিকেজি ১০০ টাকা, আদা (আমদানি) প্রতিকেজি ১২০ টাকা, শুকনা মরিচ (দেশি) প্রতিকেজি ২১০ টাকা, শুকনা মরিচ (আমদানি) প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ১২০ টাকা, ধনিয়া প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, জিরা প্রতিকেজি ৪৮০ টাকা, কালোজিরা প্রতিকেজি ৪০০ টাকা, এলাচি (বড়) প্রতিকেজি ৩২০০ টাকা, এলাচি (ছোট) প্রতিকেজি ৩০০০ টাকা, গোলমরিচ প্রতিকেজি ৯০০ টাকা।

শাক-সবজির দাম
আলু (দেশি) প্রতিকেজি ২০ টাকা, আলু (হলান্ড) প্রতিকেজি ২০ টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিংগা প্রতিকেজি ৭০ টাকা, পটল প্রতিকেজি ৬০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিকেজি ৫০ টাকা, করল্লা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, চিচিংগা প্রতিকেজি ৭৫ টাকা, গাজর প্রতিকেজি ৪০ টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ৫০-৬০টাকা, লালশাক প্রতিকেজি ৪০ টাকা, লাউ প্রতিকেজি ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে প্রতিকেজি ৩০ টাকা, খিরা (শশা) প্রতিকেজি ৮০-১ে০০ টাকা, বরবটি প্রতিকেজি ৮০ টাকা, কচুমুখি প্রতিকেজি ৬০ টাকা, পুঁইশাক প্রতিকেজি ৪০ টাকা।

লবণের দাম
মোল্লা সুপার প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, ব্রাক প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, কনফিডেন্ট প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, এসিআই প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, ফ্রেশ লবণ প্রতিকেজি ৩৫ টাকা।

চিনি ও গুড়ের দাম
চিনি প্রতিকেজি ৮০ টাকা, খেজুর গুড় প্রতিকেজি ২৮০ টাকা, আখের গুড় প্রতিকেজি ১০০ টাকা।

খোলা চা (গুড়া) প্রতিকেজি ৪৬০ টাকা, চা (পলিপ্যাক) প্রতিকেজি ৫২৫ টাকা।

সাবানের দাম
তিব্বত ৫৭০ একটির দাম ২০ টাকা, তিব্বত (৯০ গ্রাম) একটির দাম ২৪টাকা, নিরালা বল একটির দাম ২০ টাকা, হুইল একটির দাম ২২ টাকা, লাইফবয় একটির দাম ৫৫ টাকা, লাক্স (৯০ গ্রাম) একটির দাম ৬৫ টাকা, কেয়া (৯০ গ্রাম) একটির দাম ৫০ টাকা, এ্যারোমেটিক (৯০ গ্রাম) একটির দাম ৫০ টাকা।

দুধের দাম
ডানো প্রতিকেজি প্যা: ৭২০ টাকা, রেডকাউ প্রতিকেজি প্যা: ৭২০ টাকা, এ্যাংকর প্রতিকেজি প্যা: ৭২০ টাকা, ডিপ্লোমা প্রতিকেজি প্যা: ৭৪০ টাকা, নিডো প্রতিকেজি প্যা: ৮০০ টাকা, মিল্ক ভিটা প্রতিকেজি প্যা: ৬৮০ টাকা, গুঁড়ো দুধ (খোলা) প্রতিকেজি প্যা: ৬৬০ টাকা। এছাড়া গরুর দুধ (তরল) প্রতি লিটার ৯০ টাকা।

এছাড়াও বাজারে ডাব প্রতি হালি ৩৬০ টাকা, কলা (সাগর) প্রতি হালি ৪৫-৫০ টাকা, কলা (সবরি) প্রতি হালি ৪২ টাকা, আপেল প্রতিকেজি ২৫০ টাকা, পান (বাংলা) ৮০ পাতা ১৭০ টাকা, সুপারী (শুকনা-টাটি) প্রতিকেজি ৫৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরইউ