ঢাকা, ২২ মে বুধবারঃ আজ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) ফাহমিনা আক্তারের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪৬ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, শেরপুর, খুলনা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, ফেনী, টাঙ্গাইল, বগুড়া, নরসিংদী, কক্সবাজার, কুমিল্লা, রংপুর, যশোর, গাজীপুর, ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী, রাজবাড়ী, গাইবান্ধা, নড়াইল, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, সিলেট, নাটোর, ময়মনসিংহ, হবিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, পটুয়াখালী, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর ও মৌলভীবাজারে বাজার তদারকি করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, জনাব আফরোজা রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক ডেমরা, লালবাগ, নিউমার্কেট, যাত্রাবাড়ি এলাকায় বাজার তদারকি পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে রিয়াজ কনজুমারস প্রোডাক্টস, হাবিবা ফাস্ট ফুড, ফুড গার্ডেন, রমনা বেকারি, ভেনিসিয়া ফাস্ট ফুড, কুমিল্লা মিষ্টান্ন ভান্ডার, রস মিষ্টির সৃষ্টিকে যথাক্রমে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা, ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে রিয়াজ কনজুমারস প্রোডাক্টস, সিরাজ সুপার সপ, স্বপ্ন সুপার সপ, রস মিষ্টির সৃষ্টিকে যথাক্রমে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে রিয়াজ কনজুমারস প্রোডাক্টস ও রস মিষ্টির সৃষ্টিকে যথাক্রমে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানোর অপরাধে রিয়াজ কনজুমারস প্রোডাক্টস ও রস মিষ্টির সৃষ্টিকে যথাক্রমে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদনের অপরাধে এস এম প্লাষ্টিককে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে সোহাগ মাংস বিতানকে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকাসহ মোট ৯,৭৬,০০০/- (নয় লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অপরদিকে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক ও জনাব জান্নাতুল ফেরদাউস কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর গুলশান ও মতিঝিল এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে হীরাঝিল হোটেলকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে প্রিমিয়াম সুইটসকে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকাসহ মোট ৮৬,০০০/- (ছিয়াশি হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৯টি বাজার তদারকির মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য, ওজনে কারচুপির, অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১১১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,৪৭,৫০০/- (চার লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ১টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ১ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৩,৭৫০/- (তিন হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল ২১ মে মঙ্গলবার, ৪৬টি বাজার তদারকি ও ১টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫,২৪,৫০০/- (পনের লক্ষ চব্বিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং আদায়কৃত জরিমানা হতে ১ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৩,৭৫০/- (তিন হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাব এসব তদারকি কার্যে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়েছে।