সুন্দর এই পৃথিবী ক্রমেই মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এর কারণ দূষণ। প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে বায়ু, শব্দ, মাটি, জল দূষণ ইত্যাদি। অর্থাৎ এই দূষণে আমাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও দূষণের মূল কারণ মানুষ। পৃথিবীতে ক্রমে বেড়ে চলেছে মানুষের সংখ্যা। তাদের বাঁচার তাগিদে বিভিন্ন দেশে চলছে অর্থনৈতিক চরম প্রতিযোগিতা। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে অর্থনীতির প্রতিযোগিতা মানেই শিল্পের প্রসার আর শিল্পের প্রসার মানেই পণ্য উৎপাদনের জন্য কারখানা। আর এই কারখানার বৃদ্ধি হচ্ছে বলেই এইগুলি থেকে বিভিন্ন গ্যাসের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে।
শতশত বছর ধরেই কল-কারখানার ক্ষতিকারক ধোঁয়া জমা হচ্ছে আকাশে। এভাবে ক্রমে গ্যাসের একটি বিশাল আস্তরণের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বাড়ছে ঝড়, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিক্ষয় ,নদীর পাড় ভাঙ্গা ইত্যাদি।
মানবজমিনের এক প্রতিবেদন মতে: বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার বায়ু দূষণের কারণে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়। ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হওয়ার ফলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি কোটি কোটি ডলার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এমন দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক । সম্প্রতি গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে বৃটিশ সামরিক দ্য নেচারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশন-এর বিজ্ঞানী বলেছেন আঞ্চলিক পর্যায়ে মারাত্মক বায়ু দূষণের কারণে কি পরিণতি ঘটে যেতে পারে তা মানুষ চিন্তাও করতে পারছে না। আর এরই প্রমাণ হলো সাম্প্রতিক সময়ের এই সংক্রান্ত নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মানুষের মনে এসব নিয়ে ভয়-ভীতি শুধুই বাড়ছে।
গবেষকরা গত প্রায় ত্রিশ বছরের আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গতি প্রকৃতি পর্যালোচনা করেছেন। তারা জানিয়েছেন আমফান, নারগিস ,রেশমি, নিশা ইত্যাদি ঝড় আঘাত হানে। এইসবের কারণে একদিকে কমছে গাছপালা অন্যদিকে বাড়ছে বাতাসে কার্বনের পরিমাণ। এর থেকে বাঁচতে হলে আমাদের এইসব ব্যাপারে সাবধান হতে হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।