সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেছেন, ‘পাইকারি দাম ঘোষণা হলে খুচরার ওপর প্রভাব পড়বে। তাদের কোন প্রস্তাব আমরা পাইনি।’
বুধবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধি প্রস্তাবের ওপর গণশুনানির শুরুতে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশন তার আইনি প্রক্রিয়াগত কারণে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় প্রস্তাবের উপর গণশুনানি নেওয়া হচ্ছে। পাইকারি দাম ঘোষণা হলে খুচরার ওপর প্রভাব পড়বে। তাদের কোন প্রস্তাব আমরা পাইনি।’ ধরেন আমি বাড়িয়ে দিলাম তখন বিতরণ কোম্পানির সমস্যা হতে পারে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কারো মৌখিক কথায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলের দাম বাড়ানো সম্ভব নয়। এ জন্য আমাদের আইন ও প্রবিদানের উপরে নির্ভর করতে হয়।
আব্দুল জলিল বলেন, ‘বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণের দায়িত্ব বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ ও ন্যায় সঙ্গত ভাবে আদেশ দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোক্তাদের জন্য জন্য সহনীয় দাম নির্ধারণে কাজ করছি। আমরা চাই সমন্বিত ভাবে কাজ করতে।’
এ জন্য বিপিডিবি’র পক্ষ থেকে তাদের প্রস্তাবনার প্রয়োজনীতা প্রমাণের বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে তুলে ধরার জন্য বলেন বিইআরসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন সারা পৃথিবীব্যাপী একটি অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। একটা পেন্ডেমিক শেষ না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ সর্বত্র প্রভাব পড়েছে। আমরাও তার বাইরে না।’
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রশ্ন উঠতে পারে গ্যাসের দামের গণশুনানির ঘোষণা না দিয়ে কেন আমরা বিদ্যুতের দামের শুনানি নিচ্ছি। আপনারা জানেন দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারের পলিসি সিদ্ধান্তের বিষয় থাকে, সেটি দালিলিক ভাবে প্রমাণের বিষয় থাকে। সেটার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। শেষ হলে গ্যাসের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।’
রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে গণশুনানি গ্রহণ করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে শুনানি গ্রহণে উপস্থিত রয়েছেন সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক ও মো. কামরুজ্জামান।