সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দামের ঊর্ধ্বগতির জন্য এই খাতে যথাযথ বিনিয়োগের অভাবকে দায়ী করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানিমন্ত্রী সুহাইল আল মাজরৌয়ি।
সোমবার থেকে দেশটির দুবাই শহরে শুরু হয়েছে আফ্রিকার তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সম্মেলন আফ্রিকা অয়েল উইক কনফারেন্স। সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বক্তব্য দেন আমিরাতের জ্বালানিমন্ত্রী।
জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এখন এক ক্রান্তিকাল পার করছে। গত কয়েক বছর ধরে তেল-গ্যাস, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ও পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে অনেক দেশ। বিপুল পরিমাণ অর্থও বিনিয়োগ হচ্ছে এই খাতে।’
‘অন্যদিকে, খনিজ ও জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ ক্রমশ কমছে। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও আন্তর্জাতিকভাবে খনিজ ও জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন ও বিপণনে যে পরিমাণ বিনিয়োগ হতো, সেই অনুপাতে এখন এখানে বিনিয়োগ কম হচ্ছে।’
‘বিনিয়োগ কম হওয়ায় উৎপাদনও কম হচ্ছে। ফলে, বিশ্বজুড়েই বাড়ছে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদনে আগ্রহী বলে সম্মেলনে জানিয়েছেন আল মাজরৌয়ি। তিনি বলেছেন, আফ্রিকার সৌর ও হাওয়াকল (উইন্ডমিল) বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় আমিরাত।
পাশাপাশি, খনিজ তেল ও মিথেনের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি গ্যাস হাইড্রোজেন উৎপাদনে বিনিয়োগের বিষয়টিও সরকারের বিবেচনাধীনে আছে বলে জানিয়েছেন আল মাজরৌয়ি।
চলতি বছর অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ২০৫০ সালে মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায় আমিরাত। পাশাপাশি, পরিবেশবান্ধব ও পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ১৬৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলেও ঘোষণায় উল্লেখ করেছে সরকার।