প্রবাসী কর্মীদের কাজে ফেরার স্বার্থে বিশেষ ফ্লাইট চালুর প্রথম দিনে শনিবার (১৭ এপ্রিল) ১০টির মধ্যে ৫টি বাতিল করা হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা শত শত প্রবাসী। রাতে বিক্ষোভও করেছেন তারা। ওই যাত্রীরা বলছেন, কর্মস্থলে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাদের জীবন।
সময় নিউজের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ল্যান্ডিং পারমিশন পেতে বিলম্ব ও যাত্রী স্বল্পতায় ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে বলে জানান শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান।তিনি বলেন, আশা করি রোববারের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে। ফ্লাইটও বাড়বে।
প্রবাসী কর্মীদের কথা চিন্তার করে লকডাউনের মধ্যেই শনিবার ভোর থেকে ৫টি দেশের সঙ্গে বিশেষ ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে অনুযায়ী ভোর ৬টা ২০ মিনিটে রিয়াদের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট। তাই লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ পেরিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত শত শত প্রবাসী উপস্থিত হন। কিন্তু আবারো নতুন জটিলতায় পড়তে হলো তাদের।কোভিড সনদ, ভিসা-পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দরে এসে জানতে পারেন বাতিল করা হয়েছে বিশেষ ফ্লাইট। আর তাতে কেউ কেউ ফেটে পড়েন ক্ষোভে, কেউ আবার হতাশায় দিশেহারা।বিশেষ ফ্লাইটে যাদের যাত্রা করার কথা ছিল তাদের প্রায় সবারই ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে আর ফ্লাইট বাতিলের খবরে তাই অনেকের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে বলে জানা গেছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিমানের এক কর্মকর্তারা জানান, সৌদি আরবে অবতরণের অনুমতি না পাওয়ার কারণেই বাতিল করতে হয়েছে বিশেষ ফ্লাইট।যেসব রেমিটেন্স যোদ্ধার বিমানে চেপে কর্মস্থলে যাওয়ার কথা ছিল, তাদেরই বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে।
বিমান সূত্র আরও জানায়, আজকে সৌদি আরবে বিমানের আরও কিছু ফ্লাইট যাওয়ার কথা ছিল এবং সেগুলোও বাতিল করা হয়েছে।বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌঁছানোর সুবিধার্থে ভোর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে প্রায় ১০০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। গত ১৫ এপ্রিল এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।